চাদপুর মতলব উত্তর থানাধীন অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ। বিশেষ ব্যবস্থায়, অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, আর্থিক লেনদেন এর মাধ্যমে কোন প্রকার নির্বাচন ছাড়াই কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয় হারুন অর রশিদ। বর্তমানে বিদ্যালয়টিকে কার্যত কুক্ষিগিত করে নিজের ইচ্ছে মতো পরিচালননা করছেন তিনি।
বিদ্যালয়ের সভাাপতি হয়ে নিজকে প্রচণ্ড ক্ষমতাধর ভাবতে শুরু করেন্ তিনি । সে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কমিটির ২/১ জন সদস্য ছাড়া অন্যদের গুরুত্ব না দেওয়ায় কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্ট হয়। এই ক্ষোভের কারনেই গত ১৩ মাসে বিদ্যালয়ের জরুরী প্রয়োজনে কোন মিটিং হয়নি এবং প্রয়োজনীয় কোনো রেজুলেশন পাশ করতে পারেনি। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারনে অবৈধ ভাবে প্রধান শিক্ষককে পুনঃনিয়োগ করা হয়েছে অথচ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ আছে। প্রধান শিক্ষককে পুনঃনিয়োগের মাধ্যমে স্বেচ্ছাচারিতার পরিমান আরো বেড়ে যায়। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষককের সহায়তায় নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করে সভাপতি হারুন অর রশিদ। হারুন অর রশিদ যেখানে সুযোগ পায় সেখানেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করে। বিদ্যালয়টির মাঠের পাশে ছোট একটি গর্ত ভরাট করতে যেখানে ১০-১২ হাজার টাকা প্রয়োজন সেখানে ভাউচার দেখানো হয় ২৫ হাজার টাকা। একই ভাবে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণীর জন্য অনুষ্ঠানে খরচের ভাউচারও লাগামহীন, অথচ ঐ পুরস্কারগুলি ক্রয় করা ছিল পূর্ববর্তী কমিটির। এই ভাবেই তার লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতার কারনে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পরে।
সভাপতি হারুন অর রশিদের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উচ্চতর স্কেল হতে বঞ্চিত হচ্ছে। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের লুণ্ঠন নীতি এবং দ্বায়িত্বহীনতার কারনেই এস এস সি ফলাফল খারাপ হচ্ছে। স্থানীয় জনগন বলেন এখনই যদি বিষয়টি দিকে দৃষ্টি দেওয়া না হয়,ভবিষতে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এলাকাবাসীর আর্জি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ দ্বায়িত্বশীল সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের হস্থক্ষেপই পারে সভাপতির দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে।
Leave a Reply