স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান জানান- অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছেন, তাদের শারীরিকভাবে বড় কোনো সমস্যা এখনো দেখা দেয়নি। তবে ভ্যাকসিনপরবর্তী কারও শরীরে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
২৫ বা ২৬ জানুয়ারি আসবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারের ক্রয়চুক্তির তিন কোটি ডোজের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ। ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দেশের বিভিন্ন পেশার ২০-২৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে টিকা দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হতে পারে। এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কুর্মিটোলাসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে ‘ড্রাই রান’ হিসেবে টিকা দেওয়া হবে। আর সব ঠিক থাকলে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে ভ্যাকসিনপরবর্তী কারও শরীরে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সবাইকেই টেলি মেডিসিন সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে । ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করে এসব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি আরোও বলেন- পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৫০ লাখ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে দেশের মোট আট কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের আছে। দেশের ৩৭ শতাংশ শিশু যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তারা কেউ টিকা পাবেন না। যাদের ক্যান্সার আছে বা যারা ক্যান্সারের ওষুধ খেয়ে থাকেন, অথবা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিয়ে থাকেন, তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না। এ ছাড়া যার বর্তমানে কোভিডে আক্রান্ত তারাও টিকা গ্রহণ করতে পারবেন না।
উল্লেক্ষ্য ভারত থেকে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে বিশেষ ভ্যানে করে ভ্যাকসিন ইপিআইয়ের সংরক্ষণাগারে নিয়ে আসা হয়।
Leave a Reply