খোরশেদ আলম
রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মো. জাহেদ আলীর নৌকা প্রতীকের গণসংযোগের সময় ককটেল বিস্ফোরনসহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে । বুধবার(২৭ অক্টোবর) রাত ৭টায় নাওড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী (বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী) মিজানুর রহমানের সমর্থিত সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সময় হামলাকারীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ১০/১২ টি ককটেল বিষ্ফোরণ ও ৩/৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে বলে জানা যায়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়- আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকরা অ্যাকশন অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন, হাত পা কাইট্টা লা- চোখ খুইলা লা এমন হুমকি সরূপ স্লোগান দিয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুইপক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই সময় বিদ্রোহীদের হামলায় আওয়ামীলীগ নেতা পচু প্রধান (৪০), ফজলুল হক (৪৫), যুবলীগ নেতা ওয়াসিম প্রধান (৩০), আমির হামজা (৪২), দুলাল (২২), ডাগু মিয়া (২৫) আহত হয়। আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের ধাওয়া করে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে।
এব্যাপারে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলী বলেন- গতকাল ২৭ অক্টোবর বুধবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমার অনুপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা নাওড়া এলাকায় গণসংযোগকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিনা উষ্কানিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জসীম উদ্দিন জসুর নেতৃত্বে তার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত এই বর্বরোচিত হামলা চালায়। হামলায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও অংশ নেয়।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতির কথা অস্বীকার করে বলেন- হামলার ঘটনায় আমার কোন কর্মী সমর্থক জড়িত নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই সঠিক ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন- ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। নাওড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ৯টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ আগামী ১১নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply