দেশে করোনা ভাইরাসের কারনে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতির বাস্তবায়নসহ বেশকিছু শর্তে বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এই বর্ধিত ভাড়া আগামী ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত চলবে। গত বুধবার(২৬ শে আগষ্ট) বিকেলে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
বিআরটিএর উপ-পরিচালক (ইনফোর্সমেন্ট) আব্দুর রাজ্জাক বলেন- আগামী ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত বাসের দুই সিটের জায়গায় এক সিটে একজন করে বসবে এবং আগের বর্ধিত ভাড়াই বলবৎ থাকবে। আগামী ৩১ শে আগস্টের পর থেকে আগের ভাড়ায় বাসে চলাচল করা যাবে। এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাব তৈরি করে আমরা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। ভাড়া কমানোর প্রস্তাবের সঙ্গে দুই সিটে দুজন যাত্রী বসা, প্রত্যেক যাত্রীর মাস্ক পরা, গাদাগাদি করে জনপরিবহনে যাত্রী না তোলাসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হবে।
করোনা মহামারি রোধে গত ৩১ শে মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয়া হয়। ঈদুল আজহার আগে স্বাস্থ্যবিধির বেশ ভালো প্রয়োগেই হয়েছিল গণপরিবহনগুলিতে, তবে ঈদযাত্রায় ও ঈদ-পরবর্তী সময় থেকে স্বাস্থ্যবিধির ধার ধারছে না গণপরিবহনগুলি। একদিকে অনিয়ম করে যাত্রীবেশি নেয়া হচ্ছে আবার যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বর্ধিত ভাড়া। গত ১২ ই আগস্ট অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসিম উদ্দিন, গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানের প্রতি এক লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
অন্যদিকে এক মানববন্ধনে সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন(ইসলামী যুব আন্দোলন) বলেন-করোনা মহামারীর মধ্যে যখন মানুষের পেটে ভাত নেই, পকেটে টাকা নেই, তখন খোড়া অজুহাত দেখিয়ে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বর্ধিত করা হয়েছে যা এখনো চলছে। করোনার আপডেট দেয়াও সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। তাহলে কেন এই বর্ধিত ভাড়াই থাকবে। এই ভাড়া আর কেউ দেবেন না। আজ থেকে প্রত্যেকটি গণপরিবহনে উঠে পরীক্ষা করা হবে। যদি দেখতে পাওয়া যায় বর্ধিত ভাড়া নেয়া হচ্ছে, তাহলে সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে যা করা দরকার তাই করতে তারা বাধ্য হবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।
Leave a Reply