সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে- প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সংঘবদ্ধ গরু চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার নীলফামারীতে ফেন্সিডিলসহ মা-ছেলে আটক। নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-৪ চিত্তরঞ্জন টেক্সটাইল পল্লী পরিদর্শন করলেন কুয়েত আর্মড ফোর্সেস এর প্রতিনিধি দল। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, হয়রানির মুখে গ্রাহক স্কুল পরিদর্শনে ইউএনও, তিন শ্রেণীতে ছিলেন না কোন শিক্ষার্থী দেশের চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি চিনিকলগুলো চালু রাখা ও উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন- শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। আড়াইহাজারে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ১ আহত তিন জলঢাকা থানায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল সহ দুইজন গ্রেফতার। বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত সড়কগুলোত সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সৈয়দপুরবাসী। কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অব স্মার্ট পুলিশিং’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করলেন আইজিপি ওসি শাহাদাত হোসেনকে পুরস্কার দিলেন আইজিপি তিনদিন পর সাগর থেকে জিবিত উদ্ধার ২৯ জেলে সাংবাদিক জিহাদ হোসেন এর আজ শুভ জন্মদিন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ১০ অক্টোবর জাতিসংঘ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের পথে প্রধানমন্ত্রী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাছ নিধন।
প্রধানমন্ত্রী-এবং-আওয়ামী-লীগ-সভাপতি-শেখ-হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি

আপনারা ঘর করে দেবেন, প্রয়োজনে টাকা আমি দেব : প্রধানমন্ত্রী

বর্তমান খবর ডেস্ক:   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি চাই এই মুজিব বর্ষের ভেতরেই বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, আওয়ামী লীগের এত নেতা-কর্মী, এত আদর্শের সৈনিক আপনারা যার যার নিজের গ্রামে, নিজের এলাকায়, নিজেরা একটু খোঁজ নেন, কয়টা মানুষ গৃহহীন বা ভূমিহীন আছে। তাঁদের আমরা ঘর করে দেব।’

প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তাঁর সরকার ও দল মুজিব বর্ষ উদযাপনে অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং সেখানে অনেক অর্থও ব্যয় হবে। তবে মুজিব বর্ষে দেশের সব মানুষকে বাসগৃহের নিশ্চয়তা বিধান করতে পারলে এর চেয়ে বড় কাজ আর হতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ শনিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীরও দেশের ও জাতির জন্য একটা দায়িত্ব আছে। সেটা যদি করতে পারেন, তবে তাই হবে সার্থকতা। ধরে নিন এটাই আপনাদের কাছে আমার একটা দাবি। আপনারা ঘর করে দেবেন, প্রয়োজনে টাকা আমি দেব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো আমাদের দেশে নদীভাঙনে গৃহহীন হয়ে যায়। এখনো কিছু মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়, যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু সাতই মার্চের ভাষণের আবেদনকে চিরন্তন আখ্যায়িত করে বলেছেন, এটি সমসাময়িক কালেও যেমন, ভবিষ্যতেও তেমনই। যুগ যুগ ধরে দেশের মানুষের পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত করবে।

৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভাষণ যে কতবার, কত দিন, কত ঘণ্টা, কত মিনিট বেজেছে, কত মানুষ এই ভাষণ শুনেছে, তা কেউ হিসাব করে বের করতে পারবে না।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ৪৯ বছর ধরে জাতির পিতার ভাষণই একমাত্র ভাষণ, যেটা সমগ্র পৃথিবীতে এখনো আবেদন রেখে যাচ্ছে। আর এই ভাষণ যুগ যুগ ধরে শুধু এ দেশেরই নয়, সারা বিশ্বের মানুষকে উজ্জীবিত করবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন।

আলোচনা সভায় দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম এবং মুহম্মদ ফারুক খান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল মান্নান বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং মাহবুব উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফি এবং উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান বক্তব্য দেন।
শিমূল মুস্তফা অনুষ্ঠানে কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’, আবৃত্তি করেন।
সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান এবং উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভা পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশের মানুষের জন্য জাতির পিতা আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এ সময় জাতির পিতার ভাষণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উদ্বৃত করেন।
জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের একমাত্র কামনা বাংলার মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, উন্নত জীবন পায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সব সময়ই বলেছেন, এই বাংলাদেশের মানুষের অন্ন,বস্ত্র, বাসস্থান শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো তিনি নিশ্চিত করতে চান। এ জন্য স্বাধীনতার পর তিনি যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানেও এই মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতের কথা বলেছেন।

সংবাদ টি শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ’বর্তমান খবর'কে জানাতে ই-মেইল করুন- bartomankhobar@gmail.com’ আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।


Bartoman Khobar ads
Bartoman Khobar ads