ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ সহনীয় পর্যায়ে এসেছে তাই বলে এখনই মাস্ক খুলে ফেলার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। পৃথিবী থেকে করোনা বিদায় না নেয়া পর্যন্ত আমাদের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসার শঙ্কা রয়েছে , রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এমন শঙ্কা জানান সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন।
বুলেটিনে তিনি বলেন- ওমিক্রনের মাত্রা এখন সহনীয় পর্যায়ে , তবে এখন যা শনাক্ত হচ্ছে তার বেশির ভাগই ওমিক্রন। সংক্রমণ রোধে এখনও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। কারণ এখনই মাস্ক খুলে ফেলার মতো কোনো কিছু হয়নি। ইতোমধ্যে অনেকেই ভাবছেন ওমিক্রনের প্রভাব কমে গেছে। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। মাস্ক খুলে ফেলার পেছনে বিভিন্ন যুক্তি দিচ্ছেন। পৃথিবী থেকে করোনাভাইরাস বিদায় না নেয়া পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে নিজেদের স্বার্থে।
রোবেদ আমিন বলেন, ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে, ইভালুশেন হচ্ছে। আবারও নতুন করে কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসবে কি না সেই শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আমাদের যেসব রিস্কি গ্রুপ আছে যেমন ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, ক্যানসারের রোগীরা এবং যারা স্টেরয়েড খাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনের সংক্রমণ সিরিয়াস হতে পারে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচিকে আমার একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থা নিয়ে আসতে পরেছি। এটা অনেক দেশ এখন স্বীকার করেছে। এখনও টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখের বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া সম্ভব হয়েছে। এ নিয়ে ১২ কোটি ৫৩ লাথ ১৬ হাজার মানুষকে দেয়া সম্ভব হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হয়েছে ৮ কোটি লাখ ৬৩ লাখের বেশি। বুস্টার ডোজে ৪১ লাখের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
Leave a Reply