ষ্টাফ রিপোর্টঃ
নওগাঁয় মামাকে গলাকেটে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নয়ন (১৭) নামের এক যুবককে মঙ্গলবার (৪ মে) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।এর আগে সোমবার (৩ মে) তাকে উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের নামাহাতাশ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি কোদাল জব্দ করা হয়। নয়ন সদর নামাহাতাশ গ্রামের মৃত নরেনের ছেলে। নিহতের নাম অরুণ সাহানা, তিনি একই গ্রামের মৃত রুপচানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়- মৃত অরুন সাহানা কৃষি কাজ ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১ মে তিনি রাতের খাওয়া শেষ করে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পশ্চিমে ভরি নামের এক ব্যক্তির খলিয়ানে থাকা ধান পাহারা দেয়ার কাজের জন্য যান। পরদিন ২ মে সকাল সাড়ে ৫টায় স্ত্রী রেবতী স্বামীকে ডাকার জন্য সেখানে গেলে অরুণের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাবলু কুমার ওরুফে পুলক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল মান্নান মিয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উন্মোচনের নির্দেশনা দিলে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রকিবুল আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এ কে এম মামুন চিশতী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু সাঈদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল, মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়সাল বিন আহসান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জান্নাত শাহ ও এসআই জামাল উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্সে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। সোমবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অরুণ সাহানার ভাগ্নে নয়নকে এলাকা থেকে আটক করা হয় এবং মঙ্গলবার আদালতে সোর্পদ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
Leave a Reply