ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের ভায়াবহতায় পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করা হলেও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। এখনো মানুষ কারণে বিনা কারণে বাসার বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে। তাছাড়া সরকারী হিসেবে শুক্রবার নতুন করে আরো ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেন, কারফিউ দিয়েও লাভ হবে না। লাঠি না নিয়ে নামলে মানুষকে ঘরে রাখা যাবে না। যতকিছুই দেয়া হোক লাভ হবে না। কারণ কারফিউ দিলে তো সেনাবাহিনীই নামবে। সেনাবাহিনী তো মাঠে আছেই, র্যাব-পুলিশ-বিজিবিও মাঠে। তারা একদিক দিয়ে টহল দিয়ে যাচ্ছে আরেকদিক দিয়ে মানুষ বের হয়ে যাচ্ছে। তাহলে এখন কি করা? আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজকে অনুরোধ করে বলছি আমি কিন্তু লোক নামিয়েছিলাম। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের কয়েকটা এলাকায় লাঠি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেছে তারা। কিন্তু দুই একটা মিডিয়া লিখে দিলো লাঠি হাতে যুবকরা মহিলাদের বাড়ির সামনে হৈ চৈ করছে। তাহলে কি দাঁড়ালো কাজ করতে গেলেও সমস্যা, না করলেও সমস্যা।
শামীম ওসমান বলেন, এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তাহলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, পঞ্চায়েতকে নিয়ে এলাকায় এলাকায় সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে আমরা ৫-৮-১০ জন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে টিম করে মাঠে নামাবো। কমিটিতে যারা থাকবে তাদের একটা আইডি কার্ড প্রশাসনের কাছে থাকবে। যাতে এই সুযোগে অন্য কেউ বদমাশি করতে না পারে। তাদের কাজ শুধু পাড়া মহল্লায় মানুষকে ঘর থেকে বের হতে বারন করা। এবং বের হলে যে কোন উপায়ে তাকে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া। আর কমিটিগুলোতে স্ব স্ব এলাকায় সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে পারে। তাই আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আপনারা সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত যদি আমাকে জানান তাহলে মানুষের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি এবং তাদের ঘরে থাকতে বাধ্য করতে স্বেচ্ছাসেবী নামাবো। এছাড়া মানুষকে ঘরে রাখা কোনভাবেই সম্ভব না।
Leave a Reply