করোনা পরিস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মূল্য একটু বেশি করেই বুঝেছে মানুষ। বাইরে বের হলেও বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা, মুখে থাকছে মাস্ক আর ফেস শিল্ড। যাতেকরে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ক্ষতিকারক জীবানুও শরীরে প্রবেশ করতে না পারে। বাইরের জন্য একাধিক রক্ষকবচতো ব্যবহার করছেন, কিন্তু নিজের ঘরের জন্য? হ্যাঁ, আপনার অন্দরমহলেও এমন সব বায়ুবাহিত রোগ-জীবানুর বাস থাকতে পারে যা এই মহামারীতেও আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে সক্ষম। তাহলে কী করবেন ভেবেছেন কিছু? কিছু সহজ উপায়ে নিজেই নিজের গেরস্থালির বাতাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
১. কীটনাশক বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করার আগে তা ‘এরোসেল ফ্রি’ প্রোডাক্ট কিনা দেখে নিন। অর্থাৎ এমন স্প্রে যাতে বাষ্পের পরিমাণ কম এতে বায়ুবাহিত রোগের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
২. বাড়ির এসির ফিল্টার পরিষ্কার আছে কিনা, তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। এই জায়গাগুলোতে ধুলো জমার প্রবণতা বেশি থাকে আর তাতে রোগের বেশি সম্ভাবনা বাড়ে, বিশেষ করে ফুসফুসজনিত রোগের।
৩. আমাদের রান্নাঘর থেকে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়। ঘরে জমে থাকা ময়লা থেকেও ছড়ায় রোগ জীবাণু, রান্নার সময় আপনি কার্বন মনোক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের বেশি কাছাকাছি থাকেন। তাই যখনই রান্না করবেন, এক্সহস্ট থাকলে চালিয়ে নেবেন বা জানলা খুলে নেবেন যাতে ক্ষতিকারক গ্যাস বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার জায়গা পায়।
৪. কার্পেট কিংবা সোফা হচ্ছে বাড়ির ময়লা জমার মুল ভিত, এই জায়গাগুলি পরিষ্কার করা হয়, কিন্তু ভালভাবে হয় কি? তা না হলেই কিন্তু মুশকিল, প্রয়োজনে ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে পাড়েন, কোণায় যেন এককণা নোংরাও
জমে না থাকে।
৫. বাড়ির ভিতরে টবে ছোট ছোট গাছ থাকা ভালো। তাতে ঘরের বাতাসে অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু এই গাছগাছালিতে যখন ধুলোর স্তর পড়ে তা ঐ বাতাসকে দূষিত করে। তাই বাড়ির ঘরে গাছ রাখলে তা নিয়মিত পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
Leave a Reply