চুয়াডাঙ্গায় কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দুইবোনকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৫ বখাটের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
চুয়াডাঙ্গার জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়গাংনি গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিলো চুয়াডাঙ্গা সদরের বোয়ালিয়া গ্রামের সুমন মিয়ার। বোয়ালিয়া গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে রান্না করার কাজের কথা বলে সুমন গত ২৪ শে আগস্ট ওই নারী ও তার বোনকে মিলন বাবুর্চির বাসায় ডেকে নেয়। পরে সুমন ও তার ৪ সহযোগী মিলন, সাগর, আরিফুলসহ মোট ৫ জন মিলে রাতভর দুই বোনকে গণধর্ষণ করে।
সকালে নির্যাতিতা দুই বোন বাড়িতে এসে পরিবারকে ধর্ষণের সমস্ত ঘটনা জানালে ভুক্তভোগী এক নারীর স্বামী বাদী হয়ে অভিযুক্ত ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এলাকাবাসী জানায়- দুই বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে, আমরা এলাকাবাসী হিসেবে এই নৃশংসতার বিচার চাই। চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট খন্দকার মো: অহিদুল আলম মানি বলেন- যারা এই ধরণের নৃশংসতম ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।
নির্যাতিতা দুই বোনেকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেখানে পরিক্ষার জন্য ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল আরএমও ডা. শামিম কবির বলেন- পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় আছে আশা করছি, আগামীকাল এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে আসলে ধর্ষিত হয়েছে কিনা। এদিকে ধর্ষণ ঘটনার প্রধান আসামি সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পলাতক রয়েছে বাকি ৪ আসামি, তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply