সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ৬:১০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে- প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সংঘবদ্ধ গরু চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার নীলফামারীতে ফেন্সিডিলসহ মা-ছেলে আটক। নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-৪ চিত্তরঞ্জন টেক্সটাইল পল্লী পরিদর্শন করলেন কুয়েত আর্মড ফোর্সেস এর প্রতিনিধি দল। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, হয়রানির মুখে গ্রাহক স্কুল পরিদর্শনে ইউএনও, তিন শ্রেণীতে ছিলেন না কোন শিক্ষার্থী দেশের চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি চিনিকলগুলো চালু রাখা ও উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন- শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। আড়াইহাজারে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ১ আহত তিন জলঢাকা থানায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল সহ দুইজন গ্রেফতার। বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত সড়কগুলোত সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সৈয়দপুরবাসী। কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অব স্মার্ট পুলিশিং’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করলেন আইজিপি ওসি শাহাদাত হোসেনকে পুরস্কার দিলেন আইজিপি তিনদিন পর সাগর থেকে জিবিত উদ্ধার ২৯ জেলে সাংবাদিক জিহাদ হোসেন এর আজ শুভ জন্মদিন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ১০ অক্টোবর জাতিসংঘ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের পথে প্রধানমন্ত্রী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাছ নিধন।

চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনুর প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন।

তাজুল ইসরাম তাজু
সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু। একটি কুচক্রি মহল তার উন্নয়নমমূলক কাজে বাধাগ্রস্ত করতে ফেসবুক ও অনলাইনে একাধিক মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। রোববার (২৩ আগস্ট) দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার মিয়া আনু উপস্তিত সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশে বলেন- আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্ঠা করছে একটি মহল। আমার কোনো গুন্ডাবাহিনী নেই, আমি চেয়ারম্যান থাকার পূর্বে ও বর্তমান চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়েও কখনও কারো উপর মামলা, হামলা ও অনিয়ম করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে বলা হয়েছে যে, আমি ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাৎ করেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসকের আদেশক্রমে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিজ দায়িত্বে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৩ সদস্য কমিটি করে উপকারভোগী ভিক্ষুকদের মাঝে উপজেলা পরিষদের সামনে ছাগল ও ভেড়া বিতরণ করা হয়। এতে চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, নেই। এছারাও আমার বিরুদ্ধে ডজনখানেক মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে যে, আমি না কি মৃত ও প্রবাসী লোক দিয়ে মাটির কাটার কাজ করিয়েছি। মৃত লোক হিসেবে উল্লেখ নুর মিয়া, গ্রাম দেওয়ান নগর সে জীবিত এবং এখনও মাটির কাটার কাজ করে। যাকে প্রবাসী উল্লেখ করা হয়েছে তিনি হাবিবুর রহমান, পিতা আমির আলী, গ্রাম দেওয়ান নগর। সে একজন দিনমজুর। সে মাটি কাটার কাজ ও কৃষিকাজ করে থাকে। যাকে পাগল বলে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি আব্দুল গণি, পিতা মৃত আলকাছ আলী, গ্রাম বাদে গুরেশপুর। সে এখন জীবিত, সম্পূর্ণ সুস্থ এবং কাজ করে। কুচক্রিমহল উল্লেখ করেছে আমার নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী আছে, তারা জনগনকে ভয়-ভীতি ও মামলা-হামলার ভয় দেখায়। কিন্তু এমন কোনো বাহিনী আমার ও আমার পরিষদের কারও নেই। এসব কথা সম্পূর্নরুপে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

চেয়ারম্যান আনোয়ার মিয়া আনু আরো বলেন- কুচক্রীমহলের অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে যে- জয়নাল আবেদীন, অদুদ মিয়া, মছদ মিয়া, প্রবাসী কামরান, আব্দুল হাই ও আব্দুল গণিকে তাদের নিজ গ্রামের পঞ্চায়েত ও আত্মীয়-স্বজন সকলে মিলে সমাজচ্যুত করেছে, অথচ গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটি জয়নাল আবেদীনকে গুরেশপুর বায়তুল আমান পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। ১ বছর ১০ মাস দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় মসজিদ কমিটি ও তার আত্মীয়-স্বজন জানতে পারেন যে, মসজিদের ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা মোতাওয়াল্লি হিসাবে জয়নালের আবেদিনের কাছে রক্ষিত ছিল। মসজিদের ক্যাশের টাকা জয়নাল আবেদীন তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যাবহার করছে। খবর প্রকাশ হওয়ার পর মসজিদ কমিটি, মসজিদের টাকা ফেরত চাইলে ও মোতাওয়াল্লি পদ ছাড়ার প্রস্তাব দিলে তিনি প্রস্তাবে রাজি হননি।পরবর্তিতে পঞ্চায়েত কমিটি জয়নাল আবেদীনের আপন চাচাতো ভাই ও আব্দুল হাই কামরানের মামাতো ভাই আহাদ আলীকে মসজিদের নতুন মোতাওয়াল্লি হিসেবে নিযুক্ত করেন। জয়নাল আবেদীন মসজিদের টাকা দিতে অস্বীকার করায় নবনিযুক্ত মোতাওয়াল্লি ও পঞ্চায়েত কমিটি জয়নালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দোয়ারাবাজার থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসেমের মধ্যস্থতায় জয়নাল আবেদীন মসজিদের ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা মসজিদ কমিটিকে ফেরত দেন। জয়নাল আবেদীন লোভী, সুদখোর ও দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত হওয়ায় তার সহযোগী হিসেবে আরও ৫ জনকে তার নিজ গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকেরা ঘৃণার চোখে দেখে। এখানেও চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নাই। উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এটা আমার বিরুদ্ধে হীন মন-মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমি ও আমার পরিষদের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে এই মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ টি শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ’বর্তমান খবর'কে জানাতে ই-মেইল করুন- bartomankhobar@gmail.com’ আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।


Bartoman Khobar ads
Bartoman Khobar ads