ষ্টাফ রিপোর্ট:
তিনদিন পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সাগর থেকে জিবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৯ জেলেকে। মাছ ধরার একটি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে থাকে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল পাওয়ার পর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ৯৯৯-এর পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) আনোয়ার সাত্তার বলেন, ‘রহমত-ই-ইলাহী’ নামের একটি ফিশিং ট্রলার ২৯ জন জেলেকে নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শেখের খাল বাজার থেকে পটুয়াখালীর মায়ারচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১টার দিকে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে থাকে, এরপর ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে চর তুফানিয়া নামক স্থানে ট্রলারটি নিমজ্জিত হয়। ওইদিন রাতে ট্রলার থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল করা হয়, ফোনকল পেয়ে সিকিউরিটি স্টেশন আন্ধারমানিক, বিসিজি স্টেশন নিজামপুর এবং বিসিজি আউটপোস্ট রাঙ্গাবালী একটি যৌথ এসএআর অপারেশন পরিচালনা করে এবং উদ্ধারকারী টিমের সাথে জাতীয় জরুরি সেবার গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা (৯৯৯) সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখে। সমুদ্র উত্তাল এবং বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও অকুতভয়ী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দল ও অন্য একটি মাছ ধরার ট্রলারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৯ জেলেকে জিবিত উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত জেলেরা সবাই সুস্থ আছে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার দেওয়া হয়েছে। পরবর্তিতে জেলেদের পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ট্রলারের মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply