ষ্টাফ রিপোর্ট:
ঢাকার কলাবাগানে আনুশকা নুর আমিন ‘ও’ লেবেল শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার মামলার আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহান কোনো যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ অথবা মাদক সেবন করেছিল কি না তা বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা পরীক্ষার আদেশ দিয়েছেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা আবেদনটি মঞ্জুর করে। কলাবাগান থানা সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন- ধর্ষণের সময় দিহান কোনো মাদক সেবন করেছিল কি না বা কোনো যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ সেবন করেছিল কি না এবং সেবন করলে কোন ধরনের ওষুধ সেবন করেছিল তা পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রয়োজন।
এর আগে ৮ জানুয়ারি এ ঘটনার আসামি দিহানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তুললে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এছাড়া একইদিনই নিহত ছাত্রীর ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন-শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে এবং ধর্ষণের ফলে যৌন ও পায়ুপথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, মৃত্যুর আগে চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে কিনা, এসব রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
প্রসঙ্গত,গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন। এরপর দিহান কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যায় এবং ফাঁকা বাসায় তাকে ধর্ষণ করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু মিলে তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a Reply