সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ৪:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-৪ চিত্তরঞ্জন টেক্সটাইল পল্লী পরিদর্শন করলেন কুয়েত আর্মড ফোর্সেস এর প্রতিনিধি দল। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, হয়রানির মুখে গ্রাহক স্কুল পরিদর্শনে ইউএনও, তিন শ্রেণীতে ছিলেন না কোন শিক্ষার্থী দেশের চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি চিনিকলগুলো চালু রাখা ও উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন- শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। আড়াইহাজারে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ১ আহত তিন জলঢাকা থানায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল সহ দুইজন গ্রেফতার। বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত সড়কগুলোত সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সৈয়দপুরবাসী। কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অব স্মার্ট পুলিশিং’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করলেন আইজিপি ওসি শাহাদাত হোসেনকে পুরস্কার দিলেন আইজিপি তিনদিন পর সাগর থেকে জিবিত উদ্ধার ২৯ জেলে সাংবাদিক জিহাদ হোসেন এর আজ শুভ জন্মদিন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ১০ অক্টোবর জাতিসংঘ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের পথে প্রধানমন্ত্রী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাছ নিধন। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর অতিরিক্ত আইজিপি’র অবসর আদমজীতে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষককে গাজী পুনরায় বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন,বড় আন্দোলনের হুশিয়ারী ১০ চাকার ডাম্পারে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা
না’গঞ্জে লকডাউন অমান্য করে উৎপাদন ও পণ্য সরবরাহ অব্যাহত
না’গঞ্জে লকডাউন অমান্য করে উৎপাদন ও পণ্য সরবরাহ অব্যাহত

না’গঞ্জে লকডাউন অমান্য করে উৎপাদন ও পণ্য সরবরাহ অব্যাহত

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ কয়েল কারখানার মালিকরা উৎপাদন ও পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার অবিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রথমে রেডজোন (ক্লাস্টার এরিয়া) এবং পরে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে পুরো নারায়ণগঞ্জকে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয় (অবরুদ্ধ)আগামী ২৫’এপ্রিল পর্যন্ত। বন্ধ রয়েছে সকল সরকারী- বেরসকারী অফিস, আদালত, গার্মেন্টস, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন। জনসমাগম ঠেকাতে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ,র‌্যাব ও সেন বাহীনি পাশা পাশি প্রতিটি রাস্তায় বসানো হয়েছে স্বেচ্ছাসেবি দল।

 

এ পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ও ২নং ওয়ার্ডে অবৈধ কয়েল কারখানা গুলো এখনো চালু রয়েছে। যার ফলে অবৈধ কয়েল কারখানার শ্রকিরা রয়েছে করোনা ভাইরাসের ঝুকিতে। অবৈধ কয়েল কারখানা গুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন প্রবেশ করছে বেশ কিছু ছোট কভ্যার্ড ভ্যান। এ ছোট কভ্যার্ড ভ্যান গুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে কয়েল। এ কভ্যার্ড ভ্যানগুলো যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরে। এসব ছোট কভ্যার্ড ভ্যানের ড্রাইভার, হেলপাররা কারখানায় প্রবেশের ফলে খুব সহজেই তাঁদের থেকে শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ঝুকিতে রয়েছে।

 

শ্রমিকদের না দেওয়া হচ্ছে মাক্স, না দিচ্ছে হ্যান্ড গ্লোবস। ক্যামিকেল মিশ্রিত এ কয়েল গুলো খালি হাতে নড়া-চাড়া করায় শ্রমিকরা রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকিতে। এ শ্রমিকদের মধ্যে বেশ কয়েক জন শিশু শ্রমিক দেখা যায়। এ অবৈধ কয়েল কারখানার মালিকরা শ্রম আইন অমাণ্য করে শিশুদের দিয়ে কম  বেতনে বিষাক্ত ক্যামিকেলের কাজ করায় নিচ্ছে। অপরদিকে সরকারী গ্যাস চুড়ি করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

 

জানা যায় তাদের ক্যামিকেল সরবরাহ ও বিক্রয় করার কোন অনুমোদন নাই।

 

শ্রমিকদের গাঁদা-গাঁদি করে বসিয়ে নূন্মতম দূরত্ব বজায় না রেখে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে চরম ঝুকিতে দিন যাচ্ছে অবৈধ কয়েল কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের।

 

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আমরা কিছু বলতে গেলে মামলার ভয় দেখায়। তাই কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করে না। কিন্তু এ প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের মধ্যেও তারা এলাকাবাসীকে জিম্মি করে অবৈধ কয়েল কারখানা গুলো খোলা রেখেছে, প্রশাস কিছু বলছে না কেন? এটা আমাদেরকে হতবাক করেছে।

 

তারা আরো জানান,নারায়ণগঞ্জ যদি লক ডাউন হতে পারে সারা বাংলাদেশের কর্মসংস্থান যদি বন্ধ হতে পারে অবৈধ কয়েল কারখানা গুলো বন্ধ হবে না কেন? আমরা কি নিরাপত্তায় যেতে পারবো না?

 

অবৈধ কয়েল কারখানার একাদিক শ্রমিক জানায়, আমরা কি মানুষ না? আমাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? নাকি বড়লোক কারখানা মালিকরা বেঁচে থাকবে আর সাধারণ মানুষ মরবে। কারখানায় না আসলে কারখানার মালিকরা আমাদের চাকরি থেকে বখাস্থ করে দিবেন বলে হুমকি দিয়ে আমাদের দিয়ে কাজ করায় নিচ্ছে। আমরা দ্রুত ছুটি চাই এবং ছুটি থাকাকালীন সময়ে সরকার ঘোষিত সকল সুবিদা চাই।

 

শ্রমিকরা করোনা ভাইরাসে কারখানা বন্ধ করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১১’র হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

এদিকে সরোজমিনে কারখানার ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব নেই বললেই চলে, শ্রমিকদের মুখে কোন মাক্স নেই, হাতে কোন গ্লাব্স নেই। যার ফলে করোনা ভাইরাস যদি করোর মধ্যে সক্রামিত হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আরও ঝুঁকির মধ্যে পরবে।

এলাকার এক মুরুব্বি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তিনি জানান, কিভাবে একটি জেলায় লকডাউন থাকার পরেও প্রশাসনের চোখের সামনে কারখানা চলতে পারে। সচেতন মহল মনে করে স্থানীয় প্রশাসনকে মাসহারা দেওয়ায় কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

 

মিজমিজী মাদ্রাসা রোড হাজেরা মাকের্ট, একলাসের বুসরা কয়েল, মৌচাক চিশতিয়া বেকারীরর উত্তর পাশে জাহাঙ্গীরের বসুন্ধরা কয়েল ও আলমের ডিকে বস কয়েল, ধনুহাজী রোড এলাকায় মিরাজের রোস্টার কয়েল ও মিজমিজি বাতেন পাড়া এলাকায় মহিউদ্দিনের পিসিভি কয়েলসহ আরো অনেক অবৈধ কয়েল কারখানা রয়েছে।

সংবাদ টি শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ’বর্তমান খবর'কে জানাতে ই-মেইল করুন- bartomankhobar@gmail.com’ আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।


Bartoman Khobar ads
Bartoman Khobar ads