সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ১০ নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলী এলাকায় নাম্বার ১০২ বাড়িটি ০২/০৪/২০২০ ইং তারিখ থেকে লকডাউন এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এই বাড়িটি আগামী ১৪ দিন অর্থাৎ ১৪/০৪/ ২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত বাড়ির ৯ টি পরিবারের ২৫ জন সদস্য সবাইকে সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানটুলী নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পাঠানটুলি পঞ্চায়েত কমিটি হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তাদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও খাবারের ব্যবস্থা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন, নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকন।
নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার রসুলপুরে গত ৩০/০৩/২০২০ তারিখে এক মহিলা মারা যায় তার মৃত্যুর পূর্বে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল তার মৃত্যুর ২ দিন পর পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওই মৃত মহিলা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন অতঃপর জেলা প্রকাশক সিট কর্পোরেশন প্রশাসনিক ওই মৃতের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলকে লকডাউন এর আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
নাসিক ১০ নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলি ১০২ নং বাড়ির বাসিন্দা মমি বেগম (৫০) সাধারণভাবে মৃত ব্যক্তির গোসল কার্যক্রম সম্পূর্ণ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মমি বেগম করোনা ভাইরাসের মৃত ওই মহিলার আত্মীয় এবং মৃতকে তিনি গোসল করিয়ে কাফন পড়িয়েছেন। মমি বেগম সম্পর্কে, বিস্তারিত তথ্য জানার পর নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও পাঠানটুলী পঞ্চায়েত কমিটির সহায়তায় পাঠানটুলী ১০২ নাম্বার বাড়ির মমি বেগম ওই নয়টি পরিবারের সকল সদস্য ২৫ জনকে আগামী ১৪ দিনের জন্য লকডাউন এর আওতায় নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন এর ব্যবস্থা করেন।
বর্তমান খবর প্রতিনিধির কাছে নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকন বলেন এই নয়টি পরিবারের সেই ২৫ জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তাদের খাবার দাবার সহ সবকিছু ব্যবস্থা আমরা করব। এই বাড়িতে একটি গোসলখানা বাথরুম মমি বেগমসহ সবাই সেটাই ব্যবহার করে মমি বেগম মৃত ওই ব্যক্তিকে গোসল করিয়াছেন। তিনি আজ দুই দিন যাবত এই বাড়িতে সবার সাথে অবস্থান করছেন তাই আমরা কোন রিক্স নেবো না এখানে আমার ওয়ার্ডের হাজার হাজার লোক থাকে সবার নিরাপত্তার স্বার্থে এই বাড়ির সবাইকে লকডাউন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন করোনাভাইরাস বর্তমান বিশ্বের একটি মহামারীর নাম এখনো এর কোন প্রতিষেধক টিকা না থাকায় প্রতিরোধ ব্যবস্থাই সর্বোত্তম তাই আমরা আতঙ্কিত না হয়ে বরং সবাই মিলে এর প্রতিরোধ জোর দিব। ডাক্তারদের পরামর্শ মতো চলব, আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবাই মাক্স, গ্লাভস, ব্যবহার করবেন সাবান হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না কারণ এটা একটি ছোঁয়াচে রোগ আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করলে এই বিপদ থেকে রক্ষা পাবো ইনশাআল্লাহ।
যাদের লকডাউন করা হয়েছে তাদের সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি তাদের যেন মন খারাপ না হয় সাহস না হারায় পরিস্থিতি বোঝাচ্ছি নিয়মিত চিকিৎসা খাবারের ব্যবস্থা করছি আমি এ ব্যাপারে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। মনে রাখতে হবে এটাও আমাদের একটি যুদ্ধ যাতে আমাদের জিততে হবে। আমাদের এই যুদ্ধে জিততে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং সকলে মিলে আমরা এই যুদ্ধে জিতব ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply