নিজস্ব প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জে “পুনর্বাসন ছাড়া একজন হকারও উচ্ছেদ চলবে না” এই স্লোগানকে সামনে রেখে উচ্ছেদের নামে জুলুম, নির্যাতন ও গ্রেফতার বন্ধ করার দাবীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ জানুয়াীর) সকালে চাষাঢ়া শহীদ মিনার এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর হকার্স লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম মুন্সি বলেন- আমি জানি না কেন হকারদেরকে কষ্ট দিয়ে সরকারকে কেন বদনাম করা হচ্ছে। আজকের এই সময়ে কেউ গরীবের জন্য কথা বললে সেই দোষী হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু রোডে যে হকাররা বসে তাদের পুনর্বাসন করা মেয়রের কাছে কোন ব্যাপারই না। আমরা এত কষ্ট করে, হকারী করে রোজগার করছি জিবিকার জন্য । আপনারা কি চান হকারদের সন্তানেরাও বড় হয়ে হকারী করুক। আমি মেয়রকে এই প্রতিহিংসাপরায়নতা বাদ দিয়ে হকারদের উন্নয়ন করার আহ্বান জানাই এবং বলতে চাই আপনি হকারদের পুনর্বাসন করুন তারপর তাদের উচ্ছেদ করুন, এছাড়া একজন হকারকেও উচ্ছেদ করবেন না।
হাফিজুল ইসলাম বলেন- আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারাও দয়া করে আইন অনুযায়ী চলবেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের প্রতি আমাদের কোন প্রকার ক্ষোভ নেই কারণ তারা হুকুম পালন করতে গিয়ে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হকারদের উচ্ছেদ করেন। বড় বড় হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলো ফুটপাথ সহ রাজপথ প্রায় দখল করে বসে আছে অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, করছে কেবল গরীব হকারদের বিরুদ্ধে । পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ আমাদের সংবিধানে নেই । তাই প্রয়োজন হলে আইনীভাবে মোকাবেলা করে হকারদের কথা সবার সামনে তুলে ধরা হবে। একজন মানুষ মারা গেলে কবর দেওয়ার জন্য ৪ বা ৫ ফুট জায়গার প্রয়োজন হয় আর সে স্থানে হকারদের জন্য ২ ফুট জায়গায় দোকান করে দেওয়া হয়েছে। যে বহুতল ভবনের কথা বলা হয়েছিল আজ পর্যন্ত তার নকশাও আমরা দেখিনি।
হকার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেকান্দার হায়াত বলেন- যদি দেশে হকারদের জন্য আইন প্রনয়ন করে হাকারদের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো তাহলে হয়তো হকারদের এই দুঃখ, দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হতো। রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধ করার জন্য দয়া করে হকারদের খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করবেন না।
হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদের সভাপতিত্বে সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, মহানগর হকার্স লীগ’র সভাপতি আব্দুর রহিম মুন্সি, হকার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেকান্দার হায়াত, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, সহকারী সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার দাস, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির আবু হাসান টিপু, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, শ্রমিক জাগরণ’র নেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক প্রমূখ।
উল্লেখ্য যে হকারদের একটি বিক্ষোভ মিছিল চাষাঢ়া শহীদ মিনার হতে নগরীর ২ নং রেল গেইট ঘুরে প্রেস ক্লাব এসে শেষে হয়।
Leave a Reply