নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ছাত্রলীগের এক কর্মী বিল্পব হোসেনকে হাত পা বেধে বেধরক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ১১ ডিসেম্বর বিকেলে বন্দর ইউপি পরিষদের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।আহত ছাত্রলীগ কর্মী বিপ্লব হোসেন বন্দর বিবিজোড়া এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন মিয়ার ছেলে।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী বিপ্লব হোসেন জানান- গত শুক্রবার সকালে জুয়েলের বাড়িতে পাওনা টাকা চাওয়ার জন্য গেলে আমার সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে জুয়েলের ছোট ভাই আমাকে বাঁশ দিয়ে কয়েকটা বাড়ি দিলে আমার গলার নিচ দিক দিয়ে কেটে যায়। পরে আমিও তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে ঢিল দিলে তারও কেটে যায়। এই নিয়ে আমাদের বাড়িতে জুয়েলের বাড়ির লোকজন এসে মিমাংসার জন্য তিন দিনের সময় দিয়ে যায়। এবং বিকেল ৪ টায় আমাদের মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে এহসান চেয়ারম্যান বলেন খাঁন মাসুদের যত লোকজন আমাদের এই এলাকায় আছে তাদের নামের লিষ্ট আমি চাই। খান মাসুদের পোলাপান কিভাবে এই এলাকায় গুন্ডামানি করে তা আমি দেখবো। প্রয়োজনে আমি আগামি সাত মাসের জন্য চেয়ারম্যানগিরি ছেড়ে দিয়ে আগের মত গুন্ডা হয়ে যাবো। চেয়ারম্যান হইছি দেখে কি হয়েছে এজন্য কি ভাল হয়ে আগের সব কিছু ভুলে গেছি। এর পর তিনি আমার নাম নিয়ে বলে গিট্রকে আপনারা চিনেন কিনা, ওতো এক ছেলেকে চাকু দিয়ে কুপিয়েছে। ওর বিচার আগামী তিনদিনের মধ্যে আপনারা সবাই আমার সাথে থেকে করে দিবেন।
বিপ্লব আরও জানান- বিকেলে বালুচর এলাকায় খেলতে গিয়েছি তখন চার জন লোক এসে চেয়ারম্যান নির্দেশে খেলার মাঠ থেকে নাম জিঙ্গেসা করে আমাকে চেয়ারম্যানের অফিসে নিয়ে যায়। তখন চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের বিবিজোড়া এলাকায় একটি বিচারকার্যে ছিলেন সেখান থেকে অফিসে আসে।আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলি আমার যদি বিচার করেন তাহলে আমার পরিবারের লোকজন থাকবো তারা তো আসেনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই চেয়ারম্যান সাহেবের মোবাইলে একটি কল আসলে তিনি আমাকে তার গোডাউনে নিয়ে হাত পা বেধে নিজ হাতে পিটিয়েছে, বুকের উপর পা দিয়ে বলে তুই আবার রাজনীতি করছ তরে আজ রাজনীতি করা শিখিয়ে দিবো। পরে আমাদের বাড়ি থেকে আমার মা, চাচা , বড় ভাই ও মুয়াজ্জিম আসলে চার জনের খালি স্ট্যাম্পে সাক্ষর রেখে আমাকে ছাড়ে এবং আমার হাত ধরে বলে তোর হাতের একটা রগ ও পায়ের রগ কেটে চন্ডিতলা বিলের মধ্যে ফেলে রাখবো। সাথে তিন লাখ টাকা খরচ করলে তোর মত মানুষ শেষ আর কিছু হবে না। আমি যদি কোন অপরাধ করি তাহলে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে থানায় দিবে, কিন্তু কি অপরাধ করলাম তা জানি না। আমি মনে করি আমার অপরাধ আমি খাঁন মাসুদ ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করি। তার সাথে মিটিং মিছিলে যাইে এর জন্য আমাকে বেধরক ভাবে পিটিয়েছে। আবার তিনি বন্দর থানায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছে। আমরা অসহায় একটি পরিবার, কি করবো বুঝতে পারছি না। তবে এঘটনায় রাতেই বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে বিপ্লব জানান।
Leave a Reply