ডেস্ক রিপোর্ট: সমগ্র দেশ করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় জর্জরিত। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জকে করোনা রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়এবং লকডাউন করা হয়। এ পরিপেক্ষিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয় নারায়ণগঞ্জবাসী ।নারায়ণগঞ্জ বাসীর জন্য ত্রাণ অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড অন্যতম বড় এবং জনবহুল ওয়ার্ড হিসেবে বিবেচিত। বৃহত্তম এই ওয়ার্ড টিতে প্রায় ৬০ হাজার লোকের বসবাস বসবাসকারী জনগণের মধ্যে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত লোকের সংখ্যাটি বেশি।
চার দিকে যখন ত্রাণ আত্মসাতের খবর ভাসছে সেই মুহর্তে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ডে অন্যতম কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন সাথে ওনার বিতরণ কৃত ত্রাণের একটি লিস্ট প্রকাশ করেন।
তিনি স্ট্যাটাসে বলেন, ’আমি নাসিক ০৮ নং ওয়াডের কাউন্সিলর মো: রুহুল আমিন।সকলের অবগতির জন্য বলতে চাই যে অনেকে সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে না জেনে আবেগের সহিত অনেক মনগড়া মন্তব্য লিখেন।আপনারা সব কিছু শুধু নেগেটিভ টা না নিয়ে কিছু পজিটিভ তুলে ধরে যারা বর্তমান এই দুর্যোগে জীবনের জুকি নিয়ে মাঠে কাজ করছে।তাদের কে আপনারা পজেটি ভাবে উৎসাহ দিয়ে তাদের মনে সাহস যোগান। বর্তমান সময়ে দেখছি করোনা যে একটা ছোয়াচে রোগ এটা কেউ মানতে চায় না পাচশত টাকার এানের জন্য যে ভাবে আমরা উঠে পরে লেগে যাই আমাদের জীবন কত ঝুঁকিপূর্ণ বতর্মান সময়ে।আমার বাস্তব অবিজ্ঞযায় দেখতেছি যাদের লাগবে না তরাও চায় আর না পাইলে নানান মন্তব্য শুরু করে দেয়।আমরা প্রত্যকটা কাউন্সিলর যার যতটুকু সাধ্য আছে আমরা কিন্তু চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পাশাপাশি সরকার হতে প্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মাধ্যমে প্রতিটা ওয়ার্ডে এান বিতরন চলমান আছে। আর পর্যায় ক্রমে সবাই কে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি দয়া করে জীবনের ঝুকি নিয়ে কেউ কোন জায়গায় জড়ো না হই। মাননীয় মেয়র এানের ব্যাপারে সব সময় যোগাযোগ রাখছেন আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেছি। আমাদের মাননীয় এম পি জনাব শামীম ওসমান সাহেব আপনাদের কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যে নামের তালিকা নিয়েছেন খুব তাড়া তাড়ি তিনি ও আপনাদের জন্য এান সামগ্রি পৌছে দিবেন। ইনশাল্লাহ সকলের সহযোগিতা ও আপনাদের সচেতনতায় আমরা এই মহামারিকে প্রতিরোধ করে আবার সাভাবিক জীবনে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে যাব বলে মনেকরি।
সাময়িক এই বিপদে আমরা একে অপরের পাশে দাড়াই, মনে করেন দেশে যুদ্ধ লেগেছে এখ যার যার অবস্থান থেকে মোকাবিলা করতে হবে। আমি একাত্তরে যুদ্ধ দেখি নাই কিন্তু ভাবি কি করে আমরা যুদ্ধ করেছি নয় মাস তখন তো আমাদের কিছু ছিলো না পাকিস্তানিরা সব নিয়ানিছে, আমরা নয় মাস চাকরি না করে শুধু যুদ্ধ করে কি ভাবে দিন চলতো। আর বতর্মানে মহা দুর্যোগ এর কারনে মাএ দুই সাপ্তাহ লকডাউন হয়েছে এমন চিএ দেখাচ্ছে মনে হয় মানুষ কত দিন ধরে না খেয়ে আছে। অথচ দেখা যায় মোটামুটি সবাই কিছু না কিছু করে আর এই লকডাউনে ও সকাল বেলা বাজারে গেলে মানুষের ভিড়ে ঢুকা যায়না আমার প্রশ্ন হলো আসলে কি আমরা খুব বেশি হারে অনাহারে আছি?
আরো দেখা গেছে যাদের আজ কে এান দেওয়া হলো অন্য কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে পাই নাই। যাই হউক অনেক কিছু বলে ফেলেছি কে কি ভাবে নিবেন জানি না তার পরও আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।কি ভাবে সকল কে ভালো রাখা যায়। আমার ওয়ার্ডে এান ভিতরনের চিএ তুলে ধরলাম পাশাপাপাশি সকল কাউন্সিলর কে অনুরোধ করলাম আপনারা আপনাদের টা তুলে ধরেন যাতে সবাই অবগত থাকে নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর বৃন্দ এই দুর্যোগে সঠিক ভুমিকা রাখছে।
আল্লাহ সকল কে হেফাজত করুক। আমিন। সবাই বের না হই আর দুরত্ব বজায় রেখে নিজে নিরাপদে থাকি পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপদ রাখি, নিরাপদ রাখি বাংলাদেশটা।’
বর্তমান খবরের পক্ষ থেকে সরেজমিনে গেলে আইলপাড়া, ভূঁইয়াপাড়া, বউ বাজার, এনায়েত্নগর, শান্তিনগর, সৈয়দপাড়া বসবাসকারী লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায় কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা একজন জন দরদী কাউন্সিলর এলাকার উন্নয়নের জন্য তিনি সর্বদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করেন উনার মত কাউন্সিলর এই এলাকার গর্ব। উনি নিজের হাতে ত্রান বাড়ি বাড়ি পৌছায়ে দিচ্ছেন।
তবে এর মাঝে কিছু লোক মন্তব্য করে বলেন, রুহুল আমিন মোল্লা ভালো লোক কিন্তু তিনি যাদেরকে ত্রাণের লিস্ট করার কাজ দিয়েছেন সেই লোকগুলি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না প্রায়ই দেখা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত লিস্ট করার সময় মুখ চিনে লিস্ট করছেন বা তার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের লিস্ট করেছেন তাই যাদের ত্রাণ পাওয়ার কথা এই সমস্ত মানুষের নাম লিস্ট থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে কাউন্সিলর সাহেব যদি সঠিকভাবে খোঁজ-খবর রাখেন তাহলে প্রকৃত মানুষ যাদের প্রয়োজন তারা ত্রাণ পাবে অন্যথায় এই ত্রাণ বিতরণ প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজে আসবে না। ত্রাণের লিস্টের ব্যাপারে নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড বাসী রুহুল আমিন মোল্লার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply