ষ্টাফ রিপোর্টঃ
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশআনী গ্রামে মাদকাসক্ত মেয়ের কাঁচির আঘাতে মা রহিমা বেগম (৫০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক মেয়ে পাপিয়া বেগমকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের দশআনী গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে রহিমা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রাম বাবুল মিয়ার, বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। তাদের সংসারে দুই মেয়ে পাপিয়া ও পপি। বড় মেয়ে পাপিয়া বেগম( ২৭) প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই বছর আগে আইয়ুবপুর গ্রামের ইসহাক মিয়া নামের এক যুবককে বিয়ে করেন কিন্তু ইসহাক মিয়ার পরিবার এই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় পাপিয়াও স্বামী ইসহাককে নিয়ে নানার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পাপিয়া মাদকাসক্ত, মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো। তার স্বামী ইসহাকও মাদকাসক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়- রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ছয়টার দিকে মার কাছে ইয়াবা কেনার জন্য টাকা চান পাপিয়া বেগম। এ নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাপিয়া মায়ের পেটে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে দশআনী বাজারে এক ফার্মেসিতে নেওয়া হয়। পরে তাকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে পপি সংবাদ প্রতিনিধিকে জানায়- সকালে আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ শব্দ শুনে উঠে দেখি পাপিয়া মার পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে দিয়েছে। এসময় আমরা মাকে ডাক্তারের দোকানে নিয়ে যাই। সেখানে ব্যান্ডেজ করে বাড়িতে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই সেখানে ডাক্তার মাকে মৃত ঘোষনা করে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার আতাউল করিম জানান- রহিমা বেগমকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পাই তিনি আগেই মারা গেছেন।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান- ঘাতক মেয়েটিকে (পাপিয়া) আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply