নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে আশা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী রফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও শাশুড়ি হনুফা বেগম পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার নড়াইল শহরের দুর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও নিহতের শ্বশুর গাফফার মোল্যা হত্যাকাণ্ডের জন্য ছেলে ও স্ত্রী দায়ী এমন কথা স্বীকার করেছেন।
নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ আশা খাতুনের পিতা মো. নূর ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে পারিবারিকভাবে নড়াইল পৌর এলাকার আব্দুল গাফফারের ছেলে রফিকুলের সঙ্গে বিয়ে হয় সদর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মো. নূর ইসলামের মেয়ে আশা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত রফিকুল ইসলাম স্ত্রী আশা খাতুনের ওপর কারণে-অকারণে নির্যাতন করত। মাদক সেবনের দায়ে কয়েক দফা জেলও খেটেছে রফিকুল। সব সময় টাকার জন্য রফিকুল ও তার মা- ছেলের শ্বশুরবাড়িতে চাপ দিত।
নিহতের মা লাভলী বেগমের অভিযোগ, আমার মেয়েকে মেরে ফেলার আগের দিনও আমার জামাই এবং বেয়াইন আমার নিকট থেকে টাকা নিয়ে গেছে। আমার মেয়েকে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের যথাযথ শাস্তি চাই।
নিহতের শ্বশুর গাফফার মোল্যা বলেন, আমিতো পুলিশের সামনেই বলেছি যে; আমার ছেলে রফিকুল ও তার মা হনুফা বেগম আমার বৌমাকে মেরে ফেলেছে। আমি গরীর মানুষ কিন্তু খুনি না। আমার ছেলে ও স্ত্রীর বিচার হোক।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মূল আসামি রফিকুলকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply