নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির জমি জোর পূর্বক দখল করে বাউন্ডারি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জমির মালিক উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা গ্রামের খায়ের উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন।ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন, নুরনবী জনির নাম উল্লেখ করে গত সোমবার (৭ ডিসেম্বর ২০২০ইং) চাঁদাদাবীর অভিযোগে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বর্তমান খবর প্রতিনিধিকে ভূক্তভোগী আলাউদ্দিন বলেন- তার ক্রয়কৃত জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মান করেন।সীমানা প্রাচীর নির্মানের সময় নুরনবী জনি নামে এক ব্যাক্তি চাঁদা দাবি করলে,দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় আমার প্লটের সীমানা প্রাচির ভেঙ্গে নুরনবী জনি নামের এক ব্যাক্তি জোরপূর্বক নিজ নামে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। বিবাদী নুরনবী জনি সহ অজ্ঞাত আরো কিছু লোক নিজেদের যোগসাজেশে অবৈধ পন্থায় লাভবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় জোর পূর্বক উপরোক্ত জমি দখলের পায়তাঁরা করে আসছিল। তাঁরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১১-১২-২০২০) নুরনবী জনি অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার ক্রয়কৃত জায়গা জোর পূর্বক দখল করে বাউন্ডারি করেছে এবং এই বলে হুমকি প্রদান করেছে,এই জমিতে গেলে আমাকে মেরে ফেলা হবে।
বর্তমান খবরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার তবিদূর রহমান(তদন্ত) বলেন- জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সোনারগাঁও থানায় এ বিষয়ে আপোষ মিমাংসা সালিস করে দেই। তিনি বলেন নুরনবীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে নূরনবী জনিও আলাউদ্দীনের নামে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। তাই উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে ঐ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্থানীয় সাংবাদিক প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে একটি ফয়সালা করে দিয়েছিলাম,তারাঁ উভয়পক্ষ এই রায় মানতে রাজী না।যেহেতু জমিসংক্রান্ত বিষয়টা আমাদের বিষয় না, তাই তাদেরকে বলেছিলাম আপনারা আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যাবস্থা নিতে পারেন।
তবে আদালতের মাধ্যমে আইনগত ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষ ঐ জায়গায় কোন প্রকার স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না।
শুক্রবার(১১-১২-২০২০) সকালে বাদী আলাউদ্দিনেআরো বলেন- নুরনবি জনি সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে তার জায়গায় বাউন্ডারি করছে। ফোন পেয়ে আমি নুরনবী জনিকে কয়েকবার ফোন করে না করেছি, যেন আদালতে আইনি ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত সেই জায়গাতে কোন প্রকার কাজ না করে, কিন্তু সে আমার কথা শুনেনি।
সোনারগাঁও থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন- এই সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply