বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুলস্থ এনওসিএস নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব) ডিপিডিসি অফিসে প্রকৌশলী মিলনায়তনে গ্রাহক সেবা সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এনওসিএস নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব) ডিপিডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ গোলাম মোরশেদের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিপিডিসি এনওসিএস (দক্ষিণ) প্রধান প্রকৌশলী মোঃ কামরুল আজম।
ডিপিডিসি এনওসিএস (দক্ষিণ) প্রধান প্রকৌশলী মোঃ কামরুল আজম সমাবেশে বলেন- দিনে দিনে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রান্সফরমাগুলোতে বিদ্যুৎ লোডের চেয়েও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ায় অনেক সময় সমস্যা সৃষ্টি হয়, এর ফলে মেরামতে সময় আপনাদের আশে পাশের এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে কাজ করা হয়। এটা অনেকে লোডশেডিং বলে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত চাপে থাকা ট্রান্সফরমাগুলো চিহিৃত করে আনলোড ট্রান্সফরমার বসানোর কাজ চলছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এগুলোর লোডের কোন লিমিট নেই, আছে, সব জিনিসের লিমিট থাকে।
বর্তমানে প্রায় ৪২ হাজার গ্রাহক রয়েছে ডিপিডিসি’র, আমরা সবাই প্রয়োজন ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে সর্তক থাকি। করোনা মহামারির সময়ে আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে দূরে সরিনি। সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। সামনে গরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন- বিদ্যুৎ ডিপার্টমেন্টকে সরকার ডিজিটাল আওতায় নিয়ে আসায় ডিপিডিসিতে এখন গ্রাহকদের ভোগান্তি কমে গেছে। আপনার যে কোন অভিযোগ বা প্রয়োজনে আপনাদের আবেদন এখন ডিজিটাল আওতায় চলে আসছে যার ফলে আপনি কবে কখন আবেদন জমা দিয়েছেন তা সকল কিছু কম্পিউটারে উঠে আসবে। তাই আপনার কোন অভিযোগ আর এখানে থাকছে না। সাশ্রয়ী বিল দেয়া বলতে কিছু নাই। আপনি যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন তার বিল আসবে। বিদ্যুৎ আমাদের নিজস্ব নয়, এটা সরকারের মাধ্যমে প্রাইভেট কোম্পানী থেকে কিনতে হয়। তাই আপনারা বকেয়া কোন বিল রাখবেন না।
গ্রাহক সেবা সমাবেশে আরোও উপস্থিত ছিলে- বিশেষ অতিথি এনওসিএস সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ কামাল হোসেন, এনওসিএস নারায়ণগঞ্জ (পশ্চিম) ডিপিডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান। প্রায় শতাধিক গ্রাহকদের উপস্থিতিতে এই সভায় বিকেএমএই নতুন অফিসের জন্য তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগে ডিমান্ড নোট স্বাক্ষর করা হয়। এ সময় অনেক গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে দেয়া হয়।
Leave a Reply