নিজস্ব সংবাদদাতা -ঃ নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার তাতখানা ডা: আব্দুল কুদ্দুস এর দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ ভোগ দখলকৃত সম্পত্তি ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে দখল করার পায়তারা করছে সাইদুর রহমান রিপন গংরা। দীর্ঘ দিন যাবৎ ডা: আব্দুল কুদ্দুস এর ভোগ দখলকৃত সম্পত্তি একটি সংঘবদ্ধ ভুমিদস্যু চক্র দখল করার পায়তারা করছে।
এ সময় তারা নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ৪ বারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাসিম ওসমান সাহেবের সুযোগ্য সন্তান যুব সমাজের প্রাণ তরুণ প্রজন্মের অহংকার জনাব আলহাজ্ব আজমির ওসমান এর নাম ব্যবহার করে জোরপূর্বক নিরীহ ডা: আব্দুল কুদ্দুসের ভূমি দখল করার পায়তারা করছে।
অথচ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সাংসদ নাসিম ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা। তার অবর্তমানে তার একমাত্র পুত্র আজমেরী ওসমান গরীব মেহনতী মানুষের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি তাঁর পিতার নামে নাসিম ওসমান দুঃস্থ কল্যান ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে তার সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষদের প্রতি সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন সব সময়। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই একটি পক্ষ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই রিপন গং মহলের মত লোকদের ইন্দনে বিভিন্ন সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনের এলাকায় বিভিন্ন ব্যাক্তি নানা রকম অপকর্ম করে তা আজমেরী ওসমানের নামে চালিয়ে দিয়ে থাকে। এই রিপন গংরা এমনি একটি চক্র যারা নিজের স্বার্থ হাসিল করার সাথে সাথে আজমেরী ওসমানে নামে ষড়যন্ত্র করায় লিপ্ত থাকে।
আরো জানা গেছে তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি দখল করতে রিপন গংরা ভুয়া ন্যাশনাল আইডি তৈরি করে নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মো: রুহুল আমিনের কার্যালয়ে একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর উভয়পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ করেন। পরে দুই পক্ষই হাজির হয়। পর্যালোচনা করে কাউন্সিলর অফিস ওই পাওয়ার অব এ্যটনির দাতাগনের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে ভুয়া বলে প্রমান পান। ফলে আব্দুল কুদ্দুসের পক্ষে রায় প্রদান করেন।
আরএস রেকর্ড এ ভুল নাম অন্তর্ভুক্তি হওয়ার সুযোগ নিয়ে সাইদুর রিপন কতিপয় ব্যাক্তিকে নুরুল হক ও নুরু হুদা, পিতা আব্দুল হামিদ এবং তদ্বীয় কন্যা আসমা ও নাতি মামুন হক সাজিয়ে ভুয়া ও জাল-জালিয়াতি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে নারায়ণগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্র অফিসে গত ২৪-৪-২০১৪ ইং তারিখে ২৭২৮ ও ২৭২৯ দুটি দলিল করে। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় যে, গত ২২-১০-২০১৪ ইং সনে আরও দুটি দলিল তৈরি করে যার নাম্মার ৬১৭৫ ও ৬১৭৬। যার দাতা ও গ্রহিতা উভয়ই ভুয়া ও জাল। উক্ত দলিল মুলে সহকারি কমিশনার ভুমির সিদ্ধিগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল নারায়ণগঞ্জ থেকে নামজারি জমাভাগ মামলা নং ৩৩২৩/১৯২০ সম্পন্ন করেন। পরবতীতে সাইদুর রহমান রিপন আসমা ও মামুন হকের নিকট থেকে আমমোক্তার নামা দলিল করেন। যার দলিল নং ২১৮৪ তারিখ ১৬-৩-২০২০ইং।
তফসিল : সে:মে: ২০৪ এসএ ১৮, আরএস ৮৯ নং গোদনাইল মৌজাস্থিত, সে:মে: ৩৮ এসএ ২৯ নং খতিয়ানভুক্ত, সিএস ১২২৩, আরএস ২৮৫৯,২৮৬১ নং দাগে ডোবা-ভুমি ৪০ শতাংশ। যাহার উত্তরে আমির হোসেন খান গং, দক্ষিনে বাবুল গং,পূবে ও পশিচমে হুকুম দখলকৃত ভুমি।
Leave a Reply