ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের পর তার লাশ নিজ জেলা ভোলায় দাফন করতে পারেনি প্রশাসন। পরে তার লাশ কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
মাজেদের শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে তার লাশ দাফন করা হয়।
এব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, উর্ধতন প্রশাসনের নির্দেশেই মাজেদের লাশ সোনারগাঁয়ে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনির লাশ সোনারগাঁওয়ে দাফন করার খবর প্রকাশ হলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ খুনি মাজেদের লাশ সোনারগাঁওয়ে দাফন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মাজেদের লাশ অপসারণ না করা হলে কবর থেকে তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি।
শনিবার দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে আবদুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। পরে তার লাশ দাফন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তার গ্রামের বাড়ি ভোলায় দাফনের কথা থাকলেও সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের প্রবল আপত্তির মুখে ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি ভোলার প্রশাসন।
সোনারগাঁ উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শেখ এনামুল হক বিদুৎ বলেন, আমাদের ইউনিয়নকে কলঙ্কিত করা হয়েছে কার অনুমতিতে কীভাবে এখানে লাশ দাফন করা হলো আমরা প্রশাসনের কাছে জানতে চাইবো।
Leave a Reply