মোঃ ওয়ারদে রহমান:বন্দর থানা আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিতাস গ্যাস সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে হত্যার পর খুনিরা ভেবেছিল বাংলাদেশে আর কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম, আওয়ামি লীগের নাম নিবেনা। কিন্তু তারা জানতো না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসে আওয়ামি লীগের হাল ধরেন। তিনি জনগণের ভোটে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কালো আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচারকার্য শুরু করেছিলেন। ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট জাতির শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা করেছিল ঘাতকরা।এপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি এখনো প্রাণে বেঁচে আছেন। আমরা চাই এই গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর হোক। যাতে এই বাংলায় আর কেউ খুন খারাপি করতে না পারে। বিএনপি জামায়াত খুন খারাপি পছন্দ করে। তারা খুন হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তারা এজন্য চেষ্টা করেছিল বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যা করতে যাতে বিএনপি জামায়াতের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন এবং দীর্ঘ এক যুগ ধরে ক্ষমতায় আছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ধাবিত হচ্ছে। এই সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার শ্রমিকদের মজুরী কয়েকদফা বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের নারায়ণগঞ্জের সকল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক যোট অত্যন্ত শক্তিশালী। নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক সেক্টরকে সুসংগঠিত করে গেছেন আমাদের প্রয়াত জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ। আজকে আমি এখানে দাড়িয়ে কথা বলছি সেটাও শুক্কুর মাহমুদের অবদানের জন্য। তিনি যতদিন নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকলীগের দায়িত্বে ছিলেন, ততদিন আমাদের নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করেন নাই। শামীম ভাই সবসময়ই শুক্কুর মাহমুদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। আগামী দিনে আমরা শামীম ওসমানের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকবো ইনশাল্লা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ২১ শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামি লীগ নেতাকর্মীদের উপর গ্রেনেড হামলা উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের নগর খানপুরস্থ বরফকল মাঠ সংলগ্ন জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কালচারাল ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত এই আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও নেওয়াজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে এ কথা বলেন জেলা ও মহানগর শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা কাজিম উদ্দিন প্রধান। বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি জুয়েল প্রধান এর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি ও মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মাইনউদ্দিন আহম্মেদ বাবুল, মহানগর শ্রমিক লীগ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমগীর কবির বকুল, জেলা শ্রমিক লীগ’র সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিবিএ কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা শ্রমিক লীগ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড্রেজার পরিদপ্তরের সিরাজুল হক, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম চৌধুরী (বাবুল), বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ শাহআলম, মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক রানী খান, জেলা শ্রমিক লীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু মাস্টার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হাসিনা রহমান শিমু, ড্রেজার পরিদপ্তরের সিবিএ’র যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কবির হোসেন, দশআনি মোহনপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, মুক্ত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন (জাতীয় শ্রমিক লীগ’র অন্তর্ভুক্ত) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোসাম্মৎ ডলি বেগম, সহ-প্রচার সম্পাদক মোসাম্মৎ সুমা আক্তার প্রমূখ।
Leave a Reply