ষ্টাফ রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার (সৈয়দপুর-মদনগঞ্জ) ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু তৈরী হচ্ছে। এই সেতু তৈরী হলে ২ শত বছরের পুরনো ফরাজীকান্দা-কলাগাছিয়া সড়কটি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বন্দরের দক্ষিণের এ রাস্তাটি চালু রাখার জন্য সেতুর নিচ দিয়ে একটি ট্যানেল তৈরি করে দিতে মানববন্ধন করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী। প্রায় ২ শত বছরের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী বন্দর-কলাগাছিয়ার-মোহনপুর এলাকা সহ প্রায় ৪২ টি গ্রামের ১০ লক্ষ জনগনের চলাচলের রাস্তা এটি । ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুটি হওয়ায় পর বর্তমান সড়ক টি বন্ধ হয়ে যাবে ফলে ৪২ টি গ্রামের জনগণের সমস্যায় পরতে হবে। তাই জনসাধারণের ভোগান্তি থেকে রক্ষায় এ সড়কটি বাচাতে সরকারি এ দপ্তর থেকে ও দপ্তরে ধরনা দিচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন।
ফরাজীকান্দা বড় জামে মসজিদের সভাপতি খালিদ বিন আনিস মানববন্ধনে বলেন- আমাদের ৪২টি গ্রামের স্থানীয় জনগণ এ রাস্তাটি চালু রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি, আমরা বলেছি একটি ট্যানেল সড়ক তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সরকারের ইচ্ছে থাকলে খুবই অল্প খরচে একটি ট্যানেল সড়ক তৈরি করে দিতে পারেন, এতে মুল সেতুর কোন ক্ষতি হবেনা।বরং জনসাধারণের উপকার হবে। ফরাজীকান্দা থেকে কলাগাছিয়া মোহনপুর ও সোনারগাঁ উপজেলার ৩ টি গ্রাম সহ প্রায় ৪২ টির মতো গ্রাম রয়েছে, এ ৪২টি গ্রামে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের যাতায়াত করতে হয় এ রাস্তাটি দিয়ে, যদি এ রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায় তবে ছোট ছোট ব্যবসা গুলো বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। মাল আনা-নেয়ার জন্য সহজ এ রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসা করা তাদের সহজ হবে না।
মানববন্ধনে সাহাদুল্লাহ মুকুল বলেন- সরকারের কাছে আমাদের দাবী সরকার সব সময় জনগণের কথা বলে, জনগণ নিয়ে চিন্তা করে, সরকারের উন্নয়নে কাজে আমরা একমত, তাই আপনাদের কাছে আমাদের দাবি, আপনারা এ সড়কটি বাচান, এ সেতুর নিচ দিয়ে একটি ট্যানেল তৈরীর ব্যবস্থা করেন, বন্দর উপজেলা সহ দক্ষিণদাঞ্চলের ব্যবসা গুলো চালু রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে অংশনেয়া স্থানীয় জনগন বলেন- এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা জাফর সরকার শুক্লা এর কাছেও আমরা একটি স্বারক লিপি পেশ করেছি।
Leave a Reply