ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর দক্ষিণখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে (২৬) হত্যা করে খণ্ডিত অংশ তিন জায়গায় রাখার আলোচিত ঘটনার মূলহোতা চার্লস রূপম সরকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুই দিনের রিমান্ড চলাকালীন রূপমকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। তিনি স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
অপর দু’জন হলেন- রূপম সরকারের স্ত্রী শাহীনা আক্তার ওরফে মনি সরকার (২৪) ও রূপমের শাশুড়ি রাশিদা আক্তার (৪৮)।
দক্ষিণখান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার (২২ জুন) রূপমকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ। শুনানি শেষে বিচারক দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
১৫ জুন হেলাল নামে ওই তরুণ ব্যবসায়ীর মরদেহের দুই অংশ দক্ষিণখান ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন দক্ষিণখানের একটি খালি প্লট থেকে উদ্ধার করা হয় হেলালের মাথা। ঘটনার পরদিন হেলালের বড় ভাই মো. হোজায়াফা বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে নিহত হেলালের বন্ধু চার্লস রূপম সরকারের স্ত্রী শাহীনা আক্তার ওরফে মনি সরকার (২৪) ও রূপমের শাশুড়ি রাশিদা আক্তারকে (৪৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আদালতে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রাজধানীর উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুর থেকে গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তারা। স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে, নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল হত্যার নেপথ্যের কারণ।
Leave a Reply