বরিশাল উজিরপুর কাংশী গ্রামে মায়ের সাথে অভিমান করে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করে। বৃহস্পতি বার ( ২৮ জানুয়ারি ) বেলা ১১ টায় পুলিশ এসে বসতঘর থেকে গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত লাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এটা আত্মহত্যা না খুন তা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে বিস্তারিত জানা যায়- বরিশাল উজিরপুর শোলক ইউনিয়নের কাংশী গ্রামের আনিছুর রহমান হাওলাদারের মেয়ে আফরিন আক্তার (১৭) বসত বাড়ির দোতলা ঘরের উপরের তলায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে, এমতাবস্থায় মৃত ছাত্রীর মা গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত মেয়েকে দেখে ডাক-চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে। পরবর্তিতে উজিরপুর মডেল থানায় খবর দিলে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ জিয়াউল আহসান দ্রুত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান এবং পারিপার্শিক অবস্থা পরিদর্শন করে নিহত ছাত্রীর লাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
নিহত আফরিন আক্তার এইচ এসসি’র ছাত্রী। বুধবার (২৭ জানুয়ারী ) মা লিপি বেগম পড়ালেখার বিষয় নিয়ে মেয়েকে বকাবকি করেন। আভিমানে মেয়ে দোতলা ঘরের দ্বিতল আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পারিবারিক অভিমত। পারিবারিকভাবে এই রিপোর্ট সংগ্রহ করা পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি। এলাকায় এটা খুন না আত্মহত্যা তা চাঞ্চল্যকর পরিবেশ তেরি করছে।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ জিয়াউল আহসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন, লাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা এবং এখন পর্যন্ত পারিবারিকভাবে মামলা না হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।