ষ্টাফ রিপোর্টঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ইউপি সদস্য শাহাবুল ইসলাম (৪২) এবং দুদু মিয়াকে (৩২) হাজতে পাঠানো হয় এর পূর্বে থানা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করে। শাহাবুল উপজেলার ধরঞ্জী ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও মির্জাপুর গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে এবং দুদু মিয়া জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর বানিয়াপাড়া গ্রামের জবায়দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়- ভুক্তভোগী নারী প্রায় আট বছর ধরে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে, চাকুরির সুবাদে পাঁচবিবি উপজেলার নন্দইল গ্রামের জাহিদ হোসেনের (৩৫) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রেমের সম্পর্কের
জেরে জাহিদ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ভূক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও নগদ প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
পরে ভুক্তভোগী নারী ইউপি সদস্য শাহাবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা উদ্ধার ও জাহিদের সঙ্গে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে পাঁচবিবিতে যেতে বলেন। আশ্বাস পেয়ে ঐ নারী সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৯টায় পাঁচবিবি বাসস্ট্যান্ডে এলে ইউপি সদস্য রাতেই মেয়েটিকে তার বোনের বাড়িতে রাখার কথা বলে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে দুদু মিয়ার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যায়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতভর শাহাবুল ও দুদু মিয়া ঐ নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে সকালে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। নিরূপায় ভুক্তভোগী নারী মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে পাঁচবিবি থানায় বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ ইউপি সদস্য শাহাবুল ইসলাম ও দুদু মিয়াকে আটক করে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ইউপি সদস্য শাহাবুল ও দুদু মিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান- মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a Reply