ষ্টাফ রিপোর্টঃ
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পঞ্চগড়ের মমিনপাড়া সীমান্ত এলাকার ৭৫৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে এক পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি পুলিশ সদস্য ওমর ফারুককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর আগে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশি পুলিশ সদস্যকে বিএসএফ আটক করে।
ঘটনায় প্রকাশ গত রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মমিনপাড়া সীমান্তের ৭৫৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা থেকে ভারতীয় নাগরিকরা ওমর ফারুক নামের ওই পুলিশ সদস্যকে ধরে মারধর করেন এবং ভারতের চানাকিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। বিএসএফের হাতে আটক ওই পুলিশ সদস্য পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতে নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পঞ্চগড়ের মমিনপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ২১ ঘণ্টা পর বাংলাদেশি পুলিশ সদস্য ওমর ফারুককে বিজিবি’র কাছে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর পক্ষে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বিএসএফের পক্ষে ২১ বিএসএফ ব্যটালিয়নের কমান্ডেন্ট জি এস তমার পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। পরে বিজিবি ওই পুলিশ সদস্যকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই সময় পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, বিজিবির ঘাগড়া সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল আমিন, সদর থানা পুলিশের তদন্ত ওসি জামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- বিএসএফের হাতে আটক হওয়া ওমর ফারুক জেলা পুলিশের একজন সদস্য, সন্ধ্যার পর আমরা তাকে হাতে পেয়েছি। তিনি আহত থাকায় এখন তার চিকিৎসা চলছে । তিনি কী কারণে ওই সীমান্তে গিয়েছিলেন তা জিজ্ঞাসাবাদসহ তদন্ত করা হচ্ছে। চিকিৎসা প্রদানের পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply