ডেস্ক রিপোর্ট: ত্রানের জন্যে তালিকা জমা হয়েছে ১৪ হাজার ৯‘শ,অথচ ত্রান এসেছে মাত্র আড়াইহাজার ব্যাক্তির জন্যে। চাহিদার ৬ভাগের একভাগও মিলছেনা সরকারি ত্রান। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী সংকট। এ কারনে চরম বিপাকে পড়েছেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন।
এমন তথ্য জানিয়ে লুৎফর রহমান স্বপন বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকাটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। যেকারণে এ অঞ্চলে প্রচুর লোকের বসবাস। তাছাড়া দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের সংখ্যাও অনেক। করোনার কারনে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় সরকার তাদের জন্য ত্রান দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে ত্রান চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার ৯ টি ওয়ার্ড থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজার পরিবারের আবেদন জমা পড়েছে। অথচ এর বিপরীতে সরকার দিয়েছে মাত্র আড়াই হাজার পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে ২৫ টন চাল। অর্থাৎ ১৪৫ টন চালের বিপরীতে মাত্র ২৫ টন। তাহলে বাকী ১২ হাজার পরিবারকে কিভাবে সামাল দেব। নিজ অর্থায়ন থেকে যদি আরো দুই হাজার পরিবারকে দেয়ার চেষ্টা করি তারপরওতো আরো ১০ হাজার পরিবার বঞ্চিত থাকে।
এসব কথা বলতে বলতে চেয়ারম্যান স্বপন আক্ষেপের সুরে বলেন, এই মূহুর্তে ইস্তফা দিলে মানুষ খারাপভাবে নিবে। তা-নাহলে ইস্তফা দিয়ে চলে যেতাম। প্রতিনিয়ত ত্রানের জন্য মানুষ মাথা খারাপ করে ফেলছে। কোনভাবেই চাহিদা মাফিক ত্রান না পাবার বিষয়টা তাদের বোঝানো যাচ্ছেনা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাহিদা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয় অবগত আছেন। নিশ্চয়ই তারাও উপর মহলকে বিষয়টি অবহিত করে আরো বেশী পরিমানে ত্রান আনার চেষ্টা করছেন। এখন বিষয়টা হচ্ছে তারা যে অনুপাতে বরাদ্দ আনতে পারছেন সে অনুপাতে আমাদেরও বরাদ্দ দিচ্ছেন। তবে সবাই ত্রান পাবেন ধারাবাহিকভাবে,এ জন্যে ধৈর্য্য ধরতে হবে।
এদিকে এই ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন মেম্বারের সাথে কথা বলেও একই চিত্র পাওয়া গেছে। ১নং ওয়ার্ডের হাসমত, ৬নং ওয়ার্ডের আলী আকবর ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম সেলিম জানান, তারা প্রত্যেকে যার যার ওয়ার্ডের ১২ থেকে সাড়ে ১২’শ পরিবারের ত্রানের জন্য পরিষদে আবেদন জমা দিয়েছেন। অথচ এই চাহিদার বিপরীতে চেয়ারম্যান সাহেব তিন দফায় ওয়ার্ড প্রতি মাত্র ১৮০ পরিবারের জন্য বরাদ্ধ দিয়েছেন। এর ফলে আমরা বাড়ঘরে থাকতে পারিনা। দলে দলে মানুষজন ত্রানের জন্য এসে ভীড় করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে কি হবে আল্লাহ-ই জানে।
Leave a Reply