বিশেষ সংবাদদাতা: সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চডুবির ঘটনায় বাড়ছে লাশের মিছিল। একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা।
লঞ্চডুবির পরপরই ডুবে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে নামে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার ডুবুরিরা। উদ্ধারকাজ শুরুর পরপরই ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করে আনা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সংখ্যাটি বেড়ে হলো ১৬। এরপর রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা। আবারও কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাড়ল লাশের মিছিল। তুলে আনা হলো আরও ৯টি লাশ। এ পর্যন্ত মোট ৩১টি নিষ্প্রাণ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ঠিক কতজন যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ডুবেছে, বিষয়টি কেউই নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আনুমানিক ৫০ জন যাত্রী লঞ্চটিতে ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পর কিছু যাত্রী সাঁতরে নদীর কিনারে উঠতে সক্ষম হন। তবে বেশিরভাগই উঠতে পারেননি। কতজন উঠতে পারেননি তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি কোনো কর্তৃপক্ষ।
এদিকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এদিকে রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। একই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply