নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম এর ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মফিজুল ইসলাম স্মৃতি সংসদেরে উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মফিজুল ইসলাম ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বাদ আছর নগরীর চাষাঢ়াস্থ চাঁনমারী মফিজুল ইসলাম আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবন প্রাঙ্গনে জেলা আওয়ামী লীগ’র সদস্য ও প্রয়াত মফিজুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র মাহাবুবুল ইসলাম রাজন এর সভাপতিত্বে এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আব্দুল হাই।
জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আব্দুল হাই বলেন- আপনারা মফিজ ভাইয়ের সম্পর্কে কম বেশি সকলেই জানেন। তিনি কোনো হাইব্রীড নেতা বা বসন্তের কোকিল ছিলেন না। তিনি তার সারা জীবনই আওয়ামী লীগ রাজনীতি করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের যাত্রা শুরু করেছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগ দিয়ে, সংগ্রামী সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আমরা তাকে অত্যান্ত শ্রদ্ধা করতাম। তিনি একজন কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। একজন কর্মীর কিছুই ছিলোনা তিনি নিজ উদ্যাগে টাকা যোগাড় করে তার বাড়িতে ঘর তুলে দিয়েছিলেন। এটাই হচ্ছে নেতার পরিচয় কর্মীদের প্রতি তার মমত্ববোধ এতোটা ছিলো বলেই তিনি ধাপে ধাপে এতোটা উপরে উঠতে পেরেছেন। যখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলেন। আমাদের নেত্রী তাকে কাকা বলে ডাকতেন আমরা আজ সকলেই মফিজ ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আপনারা সবাই প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলাম’র জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ পাক যেনো তাকে বেহেশত নসিব করেন।
প্রয়াত মফিজুল ইসলাম এর ছেলে মাহাবুবুল ইসলাম রাজন বলেন- আজকে যার উদ্দেশ্যে আমরা এখানে সবাই সমবেত হয়েছি তিনি আমার প্রিয় বাবা। বাবা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ’র বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন । তার অবদান অপরিসীম বললেও ছোট হবে, তিনি ছিলেন রাজপথের একজন ত্যাগী নেতা। আমার স্পষ্ট মনে আছে ২০০১ সালে স্বৈরাচারী আন্দোলনের সময় পুলিশের অত্যাচারে যখন মানুষ বাসা বাড়ি থেকে বের হতে পারতেন না। পার্টি অফিসে যেতে পারতেন না তখন আমি দেখেছি আমার বাবাকে দুই চার জন নেতা নিয়ে পার্টি অফিসে দিনরাত কাটিয়েছেন। খালেদা জিয়ার চার দলীয় সরকারের আমলে সবাই যখন পুলিশের ভয়ে রাস্তায় নামতে পারতো না, তখন তিনি সম্পূর্ণ দ্বায়িত্ব নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ’র রাজনীতি করেছিলেন।
এ সময় স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ’র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, জেলা আওয়ামী লীগ’র দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, ফতুল্লা থানা যুবলীগ’র সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ’র সভাপতি জুয়েল হোসেন, প্রয়াত মফিজুল ইসলাম’র বড় সন্তান মাহফুজুল ইসলাম রানা, ছোট নাতি যুবলীগ নেতা মামুন আহমেদ ইমন মাহির ইসলাম ও সোহেল করিম রিপন প্রমূখ। স্মরণ সভা শেষে প্রয়াত জননেতা মফিজুল ইসলাম’র রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
Leave a Reply