বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষের অতিরিক্ত ওজনের সাথে ভুঁড়িবৃদ্ধির সমস্যাও দেখা দিয়েছে। সামান্য অনিয়মের কারনেই ওজনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভুঁড়ি। বাড়তি ভুঁড়ি যে সৌন্দর্য নষ্ট করে তাই নয়, এটি আমাদের শরীরের জন্যও ক্ষতিকরও বটে। নানা অসুখ ডেকে নিয়ে আসে এই অতিরিক্ত ভুঁড়ি। ভুঁড়ি বাড়লে তা কমানোর জন্য আমাদেরে নানা রকম প্রচেষ্টা থাকে। অনেকে আবার না বুঝেই না খেয়ে থাকা শুরু করে দেয়। এতে যে উপকার মেলে তা কিন্তু নয়, খাবার খেতে হবে নিয়ম মেনে। সেই সাথে ভুঁড়ি দূর করতে মেনে চলতে হবে কিছু সুনির্র্দিষ্ট নিয়ম কানুন।
পুষ্টিবিদরা বলেন- হাই প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে, এমনকি ক্যালোরি পোড়াতেও সাহায্য করে থাকে। শরীরে নিউট্রিন্টসের ভারসাম্য বজায় রাখে, তাই সকালকে জন্য প্রতিদিনের খাবার মেনুতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখাটা ভীষণ জরুরি।
প্রতিদিন সাধারনত তিন-চারবার খাবার প্রায় আমরা সবাই খেয়ে থাকি। তবে অল্প অল্প করে কয়েকবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এক্ষেত্রে দিনের শুরুতে কী খাবার খাচ্ছেন, তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সকালে কোন খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ভুঁড়ি দ্রুত কমবে, তা জেনে নেয়া যাক-
মূলত প্রতিদিন সকালের খাবার থেকেই আমরা সারাদিনের প্রয়োজনীয় শক্তিটা পাই। যে কারণে এটি ভারী হলেও তেমন কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। সকালের খাবারে অবশ্যই ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন যা চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী উপায়।
অনেকে আছেন সকালে উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেয়ে পেট ভরান, তবে উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার সকালে না খাওয়াই ভালো। সকাল বেলা চা বা কফি যা-ই পান করুন না কেন, চিনি মেশানো চলবে না। চিনি মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যকর খাবার থেকেও সঠিক পুষ্টি পাওয়া যায় না, বরং ভুঁড়ি আরও বেড়ে যায়। প্রসেসড খাবার এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আর সকালে তা একেবারেই খাবেন না। অনেকে সকালের খাবারে প্রসেসড জুস নিয়ে থাকেন এতে উপকার থেকে অপকারই বেশি। তাই সকালে এটি পান করা থেকে বিরত থাকুন, এর বদলে তাজা ফলের রস অথবা আস্ত ফল খান।পাস্তা বা হাতে গড়া আটার রুটি সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন। এতে হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে এবং সেই সঙ্গে কমবে ভুঁড়িও।ঘুম থেকে ওঠা এবং সকালের খাবার খাওয়ার মধ্যে খুব বেশি সময়ের ব্যবধান রাখা চলবে না। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই সকালের নাস্তা খেতে, দীর্ঘসময় খালি পেটে থাকলে ভুঁড়ি আরো বাড়ে তাই সকালে পেটপুরে খান। এরপর সারাদিন অল্প করে তিন-চারবার খান। সেই সঙ্গে পরিমাণমতো পানি পান করুন।
প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা ঘুমান, দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন। সেই সঙ্গে শরীরচর্চায় আরো মনোযোগী হোন। এতে অতিরিক্ত ভুঁড়ি দূর হবে দ্রুত।
Leave a Reply