স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদাবাজির কালো থাবায় ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ। এই সাপদ-সংকুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা থাকার কথা সবার আগে অথচ সেই পুলিশ প্রশাসনের কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি নিজেরাই চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয় তাহলে দেশবাসী কোথায় যাবে? কি ভাবে থাকবে প্রশাসনের স¦চ্ছতা এমন প্রশ্ন উঠেছে জন মনে।
নারায়ণগঞ্জের ভূলতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িটি একটি কর্মব্যস্ত প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান। এপ্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারির কারণে পুলিশ ফাঁড়িটি হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজির এক স্বর্গরাজ্য হিসাবে।
“বর্তমান খবর” এর পক্ষ থেকে সরেজমিনে গেলে কাঁচপুর- গাউছিয়া রোডের কিছু ড্রাইভার প্রতিনিধিকে বিস্তারিত তথ্য জানায়। প্রথমে তারা ভয়ে কোন প্রকার তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করে,এ তে তাদের ক্ষতি হবে, রাস্তায় গাড়ী চালাতে সমস্যা হবে। পরবর্তীতে তারা নাম প্রকাশ না করার স্বর্তে তথ্য দিতে রাজি হয়।
তাদের তথ্য মতে, পুলিশ ফাঁড়িতে চাঁদা দিলে এ রোডে গাড়ী চালানো যায় নিরাপদে। এ রোডে অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ড্রাইভার আছে যারা লেগুনা, অটো গাড়ী চালায় এবং এ সব গাড়ীর ফিটনেস নাই, রোড় পারমিট নাই, তাদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই অথচ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্ধারিত চাঁদা দিয়ে রোডে গাড়ী চালচ্ছে নির্ঝঞ্জাটে। তথ্যমতে, প্রতিটি অটো গাড়ী থেকে মাসিক চাঁদা দিতে হয় ৬০০ টাকা, লেগুনা গাড়ীর চাঁদা দিতে হয় ২০০০ টাকা মাসিক বিত্তিতে, এছাড়াও মটর সাইকেল চালকদের হেলমেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও চাঁদা দিলেই হয়।
এসব কারনে এ রোডে প্রতি নিয়ত ঘটে চলেছে ছোট বড় দুর্ঘটনা, বাড়ছে জন দুর্ভোগ। সাধারণ জনগন এর প্রতি কার চেয়ে উর্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply