কাওসার আহমেদ শাওনঃ
ভোটের আনন্দ অনেকটা ঈদের দিনের মতো বলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার করোনাযোদ্ধা শুক্লা সরকার। “বর্তমান খবর” প্রতিনিধির সাথে বন্দর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতি বার(১১ মার্চ) উপজেলা কার্যালয়ে ১৭ ই মার্চের প্রস্তুতিমূুলক সভা শেষে ইউ এন ও শুক্লা সরকার বলেন- সামনে বন্দর উপজেলা নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষ্যে বন্দরের জনগণের মাঝে এক উৎসবমূুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার সর্বত্র ভোটের হাওয়া বইছে। কিছুু কিছু মানুষ সব সময়ই ভোট নিয়ে ভিন্ন মতামত পোষন করে বলে ইভিএম মেশিনে সমস্যা আছে, ভোটে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে, অনেকটা ৩য় হাত, অজুহাতের মতো। বন্দর একটি শান্ত এবং শান্তিপ্রিয় এলাকা, এখানে তেমন কোনো সন্ত্রাসী নেই তাছারা আমাদের এসপি সাহেব ও বন্দর থানা ওসি সাহেবের নিবির ত্বত্তাবধানে আইনশৃৃংখলা পরিস্থিতি সাভাবিক আছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শুক্লা সরকার বলেন- মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশনের মতো আমাদের ফগার মেশিন নেই তবে আমাদের চ্যায়ারম্যান, মেম্বারগন ব্যক্তিগতভাবে ফগার মেশিন কিনলে অসুবিধা নেই, তিনি হেসে বলেন আমাদের প্র্রতিনিধিগন গরিব না, তারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিনতেই পারে।
করোনা মহামারি সংক্রান্ত ব্যপারে ইউ এন ও শুক্লা সরকার বলেন- লকডাউনের সময় আমরা ঘরে ঘরে ঔষধ, খাবার,পানি,মাস্ক,ত্রাণ পৈাছে দিয়েছি। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সঠিকভাবে পেয়েছে কিনা তা তদারকি করাতে আমার প্রতিনিধিরা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে। আপনারা হয়তো জানেন ঐসময় আমি এবং আমার হাজব্যান্ড এডিসি(গুলসান বনানী) গোলাম সাকলাইন করোনাতে আক্রান্ত হয়েছিলাম, তখন ফোনে তদারকি করতে হয়েছে। করোনার সময় আমাদের এখানে ২টি বুুথের ব্যবস্থা করি যার একটি আমাদের এহসান চ্যায়ারম্যান ব্যবস্থা করেন। আমাদের এম্বুুলেন্স ছিল একটি, মাননীয় সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান আরো ২টি এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। আমাদের রশিদ চ্যায়ারম্যান সাহেব এই সময় যথেষ্ট সহযোগিতা করেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাহেবের সঠিক দিক নির্দেশনায় করোনা মহামারির জটিল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পেরেছি। করোনা টিকা দেশের জনগণ নিচ্ছে তার মানে এই নয় যে করোনা চলে গেছে, আমাদের সকলকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
Leave a Reply