কুমিল্লা প্র্রতিনিধি:
মতলব উত্তর থানাধীন অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হারুন অর রশিদ। তার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের ফলে বিদ্যালয়ের চলমান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ,বি, সিদ্দিক নারী গঠিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় হাতেনাতে ধরা পরে। অলিপুর গ্রাম সহ আশেপাশের গ্রামের সচেতন জনগনের চাপের মুখে বর্তমান বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে রেজুলেশন পাশ করে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন।কিছুদিন পূর্বে সভাপতি হারুন অর রশিদ ঐ প্রধান শিক্ষককে পূনঃবহাল করেন।
প্রধান শিক্ষক এ,বি, সিদ্দিকের নারী গঠিত কেলেঙ্কারির কারনে স্থানীয় জনগন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক যাতে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে না পারে সে বিষয়ে একমত হয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মিটিং এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়। কিছু দিন পর বর্তমান কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, প্রধান শিক্ষক এ,বি, সিদ্দিকের নিকট থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে কোন এক অজানা শক্তির মাধ্যমে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের না জানিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোন প্রকার মিটিং বা কোন সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনা না করে পুনরায় প্রধান শিক্ষককে পূনঃবহাল করেন কোনো প্রকার রেজুলেশন ছাড়া। বর্তমান সভাপতি নিজের বলয় শক্ত করার জন্য কমিটির অন্যান্য সদস্য, দাতা সদস্য, টি আর সদস্য এমনকি শিক্ষকদের মতামতেরও গুরুত্ব প্রদান না করে এমনটি করেছেন। সভাপতির উপর কমিটির অন্যান্য সদস্যদের আস্তা না থাকায় গত ১৩ মাসেও কোন মিটিং করা সম্ভব হয়নি ফলে শিক্ষকদের জন্য জাতীয় ভাবে প্রদান করা উচ্চতর স্কেল পেতে বিদ্যালয়ে যে রেজুলেশন করা প্রয়োজন হয় তা করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বঞ্চিত হচ্ছে উচ্চতর স্কেলের সুবিধা হতে। সভাপতির চাপের মুখে শিক্ষকরা কথাও বলতে পারছেনা।
বর্তমানে অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি চার তলা ভবন নির্মানের কাজ চলমান আছে। ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে সঠিক মান বজায় থাকছে কিনা সেটা তদারকি করার দ্বায়িত্ব কমিটির সভাপতি, সকল সদস্য, প্রধান শিক্ষক সহ সকলের। অথচ সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে আতাত করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছে।
জনমনে প্রশ্ন হারুন অর রশিদ কোন অদৃশ্য শক্তির বলে এমন স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ করছে? কেন সে দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাখে কোনো মিটিং না করে কোন প্রকার রেজুলেশন পাশ না করিয়ে একক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে? নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় সচেতন জনগন জানায় সভাপতি হারুন অর রশিদের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের কারনে বিদ্যালয়ের অবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপ হয়ে যাবে।
Leave a Reply