তাজুল ইসলাম তাজু
সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট সুনামমগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারে মসজিদের ক্যাশের টাকা নিয়া দন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মহিলা সহ ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন উপজেলার দোহায়ীয়া ইউনিয়নের বাদে গুরেশপুর গ্রামের আছকির আলী (৬৫), সানা উল্লাহ (৪৫), বিলাল উদ্দিন (৩৫), বাবুল মিয়া (৩৮), অজুদ আলী (৫৫), মরিয়ম বেগম (৪৫)। ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখত অভিযোগ করেছেন গুরেশপুর গ্রামের আফতর আলীর পুত্র আল-আমিন।
সরেজমিনে জানা যায়, গত এক বছর যাবৎ গ্রামে বায়তুল আমান জামে মসজিদের মতুয়াল্লি হিসেবে জয়নাল আবেদীন দায়িত্ব পালন করছেন। জয়নাল আবেদিনের কাছে মসজিদের ফান্ডের ৪ লক্ষ ৮ হাজার টাকা জমা রাখা হয়। গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে জয়নাল আবেদিনের কাছে মসজিদের কাজের জন্য উক্ত টাকা দেয়ার কথা বলেন গ্রামের পঞ্চায়েত। জয়নাল আবেদিন টাকা দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করেন। গ্রামের মুরব্বিরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন জয়নাল তার দাদন ব্যাবসায় মসজিদের টাকা ব্যাবহার করছেন। পুনরায় টাকা দেয়ার জন্য চাপ দিলে জয়নাল টাকা দিতে পারবেনা বলে জানায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকজন টাকা উদ্ধার করতে অপারগ হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় টাকা উদ্ধার করা হয়। টাকা উদ্ধার করার পর জয়নাল আবেদিনকে মতুয়াল্লি পদ থেকে বাদ দেয়ার সদ্ধিান্ত নেয়া হয়।এই বিষয়কে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর জয়নাল ও তার সাথে আরও পাঁচ ছয়জন লাঠিসোটা, দা, রামদা ইত্যাদি নিয়ে মসজিদের মুসল্লী গণের উপর হামলা করে। খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে আল আমিন বাদি হয়ে থানায় মামলরা করেন। আল আমিন বলেন, জয়নাল এলাকায় একজন মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। সে সবসময় গ্রামে একটা না একটা ফ্যাসাদ লাগাইয়া রাখে। আমরা প্রশাসনের কাছে সটিক বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি (তদন্ত) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গুরেশপুর গ্রামের পক্ষ থেকে আল আমিন একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।(মসজিদের ছবিটি সংগৃহিত)
Leave a Reply