ষ্টাফ রিপোর্ট:
খুলনা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মসজিদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সেক্রেটারি পক্ষের লোকদের পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষে নজরুল ইসলাম পাড় (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হন আরোও পাঁচ/ ছয় জন। শুক্রবার (১৫ ই জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর উপজেলার নলতা ইউনিয়নের পশ্চিম পাইকাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নজরুল ইসলাম পাড় সেক্রেটারির বাবা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান- গত ৪ ই জানুয়ারি(সোমবার) স্থানীয় প্রায় সকল মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে দক্ষিণ কাশিবাটি জামে মসজিদে ভোটের মাধ্যমে কাশিবাটি গ্রামের ফজলুর রহমানকে সভাপতি ও পশ্চিম পাইকাড়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানকে সেক্রেটারি নির্বাচিত করা হয়। শুক্রবার(১৫ ই জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর কমিটির অন্যান্য সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়। বিগত কমিটির সদস্য আব্দুর রউফ সরদার, আনছার সরদার ও খায়রুল আলমকে নতুন কমিটিতে রাখার জন্য নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান সভায় প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে ভেটো দেন সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক-বিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে মসজিদের বাইরে এসে সভাপতি পক্ষের ও সেক্রেটারি পক্ষের লোকজন পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় সেক্রেটারির পিতা পশ্চিম পাইকাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম পাড় ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনায আরোও জানা যায়- সংঘর্ষে আহত হন সভাপতি গ্রুপের কাশিবাটি গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে শাহাজান (৫৫), মৃত নাজের আলীর ছেলে রুস্তম আলী (৫০) ও তার সহোদর আবু সাঈদ (৪০) অন্যদিকে সেক্রেটারি গ্রুপের পাইকাড়া গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে আবুল কালাম (৩২) ও তার সহোদর আল আমিন (২৫)। স্থানীয় অন্যান্য মুসুল্লি আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নজরুল ইসলাম পাড়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সভাপতির গ্রুপের আহত তিন ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
সভাপতির পক্ষের লোকজন দাবি করেছেন- সংঘর্ষে নয়, ছেলের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে মারামারির দৃশ্য দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নজরুল ইসলাম পাড়ের মৃত্যু হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন প্রতিনিধিকে জানান- সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে, শনিবার(১৬ ই জানুয়ারি) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে, ময়নাতদন্তের পরে এটি হত্যা নাকি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তা বলা যাবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply