ষ্টাফ রিপোর্টঃ
বরিশাল নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোডের এক যুবককে আটকের পর হাতকড়া পড়িয়ে হাতে ইয়াবা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক তালুকদার’র বিরুদ্ধে। ইয়াবা দিয়ে নির্যাতন করে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যুবক মো. মারুফ শিকদার (২০)। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো কিংবা নির্যাতনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার।
সম্প্রতি বরিশালে ফাঁস হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়- বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার তার অফিস কক্ষে হ্যান্ডকাফ পরিহিত এক যুবককের হাতে ৫ পিস ইয়াবা দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন। মাদকের কথা স্বীকার না করায় লাঠি হাতে পরিদর্শক মালেক নির্যাতন করেন ওই যুবককে। এই সময় নির্যাতিত যুবক পানি পান করতে চাইলেও তাকে পানি না দিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করা হয়।
ঘটনায় প্রকাশ- গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মারুফ শিকদার নামে যুবককে আটক করা হয় নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোড এলাকা থেকে এবং তার কাছ থেকে ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে এই অভিযোগ করে ওই রাতেই কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার। মামলায় ১৭ দিন কারাবাসের পর কারাগার থেকে মুক্ত হয় মারুফ। হয়রানির শঙ্কায় ওই কর্মকর্তার বিচার চাইতেও ভয় পাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে মারুফ নির্যাতনের অভিযোগ করেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দারা সাংবাদিকদের জানায়- মারুফ এলাকার এক নিরিহ স্বভাবের ছেলে তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টার অভিযোগ কখনও শোনেননি তারা। মারুফকে অন্যায়ভাবে মাদক দিয়ে ফাঁসানো এবং নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তের কঠোর বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু বলেন- অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply