অক্টোবর ৩, ২০২৩, ৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনী ইশতেহারের মতামত চেয়ে আওয়ামী লীগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে- মির্জা ফখরুল কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সহায়তা সামগ্রী বিতরণ বোনের বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ায় বন্ধুকে খুন, গ্রেপ্তার- ৪ রূপগঞ্জে হত্যা মামলায় আসামি গ্রেফতার ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে- প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সংঘবদ্ধ গরু চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার নীলফামারীতে ফেন্সিডিলসহ মা-ছেলে আটক। নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-৪ চিত্তরঞ্জন টেক্সটাইল পল্লী পরিদর্শন করলেন কুয়েত আর্মড ফোর্সেস এর প্রতিনিধি দল। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, হয়রানির মুখে গ্রাহক স্কুল পরিদর্শনে ইউএনও, তিন শ্রেণীতে ছিলেন না কোন শিক্ষার্থী দেশের চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি চিনিকলগুলো চালু রাখা ও উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন- শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। আড়াইহাজারে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ১ আহত তিন জলঢাকা থানায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল সহ দুইজন গ্রেফতার। বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত সড়কগুলোত সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সৈয়দপুরবাসী। কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অব স্মার্ট পুলিশিং’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করলেন আইজিপি ওসি শাহাদাত হোসেনকে পুরস্কার দিলেন আইজিপি তিনদিন পর সাগর থেকে জিবিত উদ্ধার ২৯ জেলে
রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহে আন্তর্জাতিক দাতা সম্মেলন কাল

রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহে আন্তর্জাতিক দাতা সম্মেলন কাল

স্টাফ রিপোর্টার: মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্য এবং দেশটির বাইরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে অনুষ্ঠেয় বহুল আলোচিত আন্তর্জাতিক দাতা সম্মেলন কাল।

 

ওয়াশিংটন সময় সকাল ৮টা, জেনেভা সময় বেলা ২টা এবং ব্যাংকক সময় সন্ধ্যা ৭টায় ওই ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন শুরু হচ্ছে। যা চলবে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে এটি আয়োজন করছে।

 

রোহিঙ্গা সংকটের সবচেয়ে বড় ভিকটিম বাংলাদেশ এবং এ সংকটের উৎপত্তি এবং সমাধান যেখানে নিহিত সেই মিয়ানমারও এতে অংশ নিচ্ছে। আয়োজকদের তরফে প্রচারিত একাধিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্মেলন আয়োজনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে।

 

বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে আগস্টে মিয়ানমার থেকে সর্বশেষ বিতাড়ণের পর ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবিরে বর্তমানে ৮ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

 

এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশও প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনো আনুমানিক ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে জানিয়ে ইউএনএইচসিআর জানায়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অনেক বাস্তুহারা রোহিঙ্গা প্রান্তিক জীবনযাপন করছে-যারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি, নির্ভরযোগ্য খাদ্য সরবরাহ, অর্থবহ কাজ ও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

 

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯’র ফলে তাদের জীবনযাত্রা আরো খারাপ হয়েছে। সেবা গ্রহণের সুযোগ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যৌন ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজার ও রাখাইন রাজ্যের মতো জনাকীর্ণ ক্যাম্পগুলোতে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকিও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে।

 

দুনিয়ার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ওই জনগোষ্ঠীর জীবনের প্রয়োজন বিচেনায় অনুষ্ঠেয় দাতা সংস্থাদের ওই সম্মেলনে যে তহবিল পাওয়া যাবে তা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে, গোটা অঞ্চলে এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের জয়েন্ট রেসপন্সপ্ল্যানের আওতায় এই সংকট নিরসনে কর্মরত সুনির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে প্রদান করা হবে।

 

ইউএনএইচসিআর বলছে, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা কার্যক্রমে অর্থায়নের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, যা এ বছর এখন পর্যন্ত চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম। রোহিঙ্গা শরণার্থী, আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাস্তুহারা জনগোষ্ঠীকে সহায়তাদানের লক্ষ্যে অতি জরুরি এই অর্থায়ন প্রদানের জন্য যৌথ আয়োজকেরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানাবে।

তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রে নিয়ে আসবে। বিজ্ঞপ্তি মতে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া এই সংকটের পর এই প্রথম ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তার পরিমাণ আগের তিন বছরের বেশি সময় ধরে দেয়া পরিমাণের চেয়ে বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি অনুরোধ জানাবে আয়োজকরা।

 

এ বছর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক চাহিদা পূরণে জাতিসংঘ আরো ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই সহায়তার পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম। ফলে অর্থায়নে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে যা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

 

ইউএনএইচসিআর-এর বিবৃতি মতে, ২২ অক্টোবরের সম্মেলনের মাধ্যমে যৌথ আয়োজকদের এমন একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে যেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অন্যান্য বাস্তুহারা জনগোষ্ঠীর জন্য এই সংকটের টেকসই সমাধান হিসেবে তাদের নিজ দেশে বা পছন্দসই স্থানে স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্থায়ীভাবে ফিরে যাবার আবশ্যকতার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করা সম্ভব হবে।

 

ওই সম্মেলনে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অস্ত্র সংবরণ ও যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে সকল অভাবী জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তার নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানেরই পুনরুক্তি হবে।

 

সংবাদ টি শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ’বর্তমান খবর'কে জানাতে ই-মেইল করুন- bartomankhobar@gmail.com’ আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।


Bartoman Khobar ads
Bartoman Khobar ads