ডেস্ক রিপোর্ট : করোনার পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের আগে নমুনা সংগ্রহ করতে ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের চারটি খ্যাতনামা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এছাড়া প্রস্তুত করা হয়েছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে এখন দ্রুত সময়ের মধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করা যাবে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ওই চারটি ডায়াগনিস্টক সেন্টারের কর্মাধ্যক্ষ ও স্থানীয় ক্লিনিক মালিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এর উদ্যোক্তা এমপি শামীম ওসমান।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে শামীম ওসমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগের রাতেই নারায়ণগঞ্জের বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের প্রতি নমুনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছিলেন এ এমপি। পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এর বিপরীতে পজেটিভ সাড়া দিয়ে সেটা বাস্তবায়নও করা হয়েছে।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের একটি পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা গত ৩দিন ধরে নিজ বাসায় অবস্থান করে একের পর এক সিটি করপোরেশনের লোকজনদের ফোন করে নমুনা সংগ্রহ করার অনুরোধ করেন। তিনি বার বার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কাকুতি মিনতি করলেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। ফলে এতেই প্রতীয়মান একজন সম্পাদক, সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের নেতার যখন এ অবস্থা তখন সাধারণ মানুষের কি হচ্ছে। সে কারণেই আমি দ্রুত ল্যাব স্থাপনের কথা বলেছি। ইতোমধ্যে আমি ক্লিনিক মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা সাড়া দিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শাখা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ল্যাবএইড, মডার্ন, মেডিনোভা ও পপুলার। তাদের কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা সম্মতি প্রদান করে ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে নমুনা সংগ্রহ করতে। তাছাড়া ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ ও মেডিস্টারের মালিক মিন্টু আমাকে অ্যাম্বলেন্স প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।
এ চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও ক্লিনিক মালিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতো কুণ্ঠবোধ করেননি প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেন, এ দুর্যোগময় মুহূর্তে যে তারা এগিয়ে এসেছে সেটা কৃতজ্ঞতা পাওয়ার যোগ্য।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এখন যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে এমন অবস্থায় ঢাকায় গিয়ে করোনার টেস্ট বা নমুনা স্যাম্পল পাঠিয়ে অপেক্ষা করার সময় না। স্যাম্পল কালেকশন করে রিপোর্ট পেতে পেতে রোগী মারা যাচ্ছে। তাছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করলেও পরীক্ষার অভাবে তা সনাক্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর পরে পরীক্ষা করে করোনা সনাক্তের কারণে নারায়ণগঞ্জে এর প্রাদুর্ভাব প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি গণমাধ্যমে দেখছি, যাদের এই সময়ে সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী দায়িত্ব পালন করার কথা, জনগন যাদের কাছে এই সেবা পাওয়ার শত ভাগ অধিকার রাখে সেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগই এখন রুগ্ন। প্রতিদিন আমার নির্বাচনী এলাকাসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বহু ফোন পাচ্ছি তারা নিজেদের নমুনা সংগ্রহ করাতে ফোন করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। অনেকে চিৎকার করে কাঁদছেন কিন্তু তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না কারণ নমুনা সংগ্রহ করার কাজ আমার জানা নেই।
Leave a Reply