স্টাফ রিপোর্টারঃ
নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন নদী খননের নামে মাটি কেটে অবৈধভাবে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে নদী খননের নামে মাটি বিক্রি করায় সরকারের রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি কিছু শ্রেনির ব্যাক্তিগত লাভ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ে মাটি খনন করা হয়েছে, সেই খননের মাটি কেটে ট্রাকে তোলা হচ্ছে ডেলিবাড়ির জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিরা জানান- নদী খননের মাটি যার প্রয়োজন সেই নিতে পারবে অথচ বিআইডব্লিউটিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এক সিবিআই নেতা জাহাঙ্গীর আলম সরকারি মাটি বিক্রি করছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। আর এ মাটি বিক্রির সিন্ডিকেট রয়েছে এক ছাত্রদল নেতাসহ কয়েকজন। ট্রাক প্রতি মাটি বাবদ ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৪শ’ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। যদি টাকা না দেই তাহলে মাটি আমাদের কাছে বিক্রি করবে না বলে জানান। এছারাও মাটির জন্য নিজেরা ব্যাক্তিগত ভাবে গাড়ি ভাড়া করলেও মাটি নেয়ার জন্য অতিরিক্ত ৭শ’ টাকা করে দিতে হয়। সিন্ডিকেট গাড়ির টিপ প্রতি ট্রাক ড্রাইবারকে ৫/৬শ’ টাকা করে দেয়া হয় অথচ মাটি বাবদ ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৪শ’ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। নদী খননের মাটি বিআইডব্লিউটিএ ফ্রি করে দিয়েছে তাহলে বাকী টাকা গুলো কোথায় যাচ্ছে? এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০/১৫০ ট্রাক মাটি বিক্রি করা হয়ে থাকে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায়।
সিবিএ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সাথে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বতীরে বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন মাটি বিক্রি অভিযোগের বিষয় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- নদী পাড় খননের মাটি অপসারণের কোন বাজেট নেই, ভেকুর ড্রাইবার ও আনসারদের কিছু খরচ দিয়ে যার মাটি প্রয়োজন সেই নিয়ে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের সাথে নদী খননের বাজেট, মাটি অপসারণ বাজেটসহ মাটি বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- আমি একটি বড় কাজের মধ্যে আছি, আগামীকাল অফিসে আইসেন কথা বলবোনে।
Leave a Reply