ষ্টাফ রিপোর্টঃ
অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদা। মানব জীবনে এই চাহিদাগুলোর প্রয়োজন আছে সুন্দর ও সুস্থ্যভাবে বেচে থাকতে। এই চাহিদাগুলোর মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম একটি চাহিদা। মানুষ অসুস্থ্য হলে এই চিকিৎসা সেবা নিতেই ছুটে যায় ডাক্তারের কাছে অথবা ছুটে যায় বিভিন্ন ক্লিনিকগুলোতে। আর আমাদের দেশের বেশির ভাগ ক্লিনিকগুলোতেই “সেবা নিন ভালো থাকুন” নীতির পরিবর্তে “টাকা দিন সেবা নিন” নীতিতে বিশ্বাসি। নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অনেকগুলো প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে অলিতে-গলিতে। এই সকল ক্লিনিক না মানছে চিকিৎসা নীতি, না আছে তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা সেবার মান, স্থানীয় এলাকার কিছু সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে নির্ভয়ে উচ্চমূল্যে রোগীদের চিকিৎসা বা অপচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে এই ক্লিনিকগুলো আর অজানা কারনে প্রায়ই চিকিৎসা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় চৌধুরীবাড়ি, এস ও রোড, আদমজি, চিটাগাং রোড, সাইনবোর্ড, ভূইগড়, জালকুরি সহ একাধিক এলাকার অলিতে-গলিতে অনেক প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এই ক্লিনিকগুলির অনেকগুলিতেই নেই ক্লিনিক পরিচালনার মতো নিয়মিত ডাক্তার, নেই সরকারি অনুমতি, দুর্বল আবকাঠামিক পরিবেশ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব, টেকনিশিয়ানের অভাব, শিক্ষানিবিশ নার্স ও শিক্ষানিবিশ ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা ও অপারেশন করানো, প্রয়োজনীয় ল্যাব ব্যাবস্থা না থাকলেও বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষা- নিরিক্ষার ব্যবস্থা করা। হাতেগোনা দু-এক জন ডাক্তার ভাড়ায় এনে ডাক্তার চেম্বার খুলে অপ্রয়োজনীয় পরিক্ষা-নিরিক্ষা করা ও অপ্রয়োজনীয় ভিটামিন ঔষধ(সরকার নিশিদ্ধ) বিক্রি করা, মূলত ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারি করানোই মুল উদ্যেশ্য। অনেক ক্লিনিকে আবার সিজার অপারেশন করার বিভিন্ন রেটও দেয়া আছে। মাঝে মাঝে সিভিল সার্জন অফিস থেকে অভিযান চালিয়ে এই সমস্ত ক্লিনিকগুলিকে জরিমানা অথবা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয় কিন্তু কিছু দিন পর দেখা যায় কোনো অদৃশ্য শক্তি বলে এই ক্লিনিকগুলি প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে অবৈধভাবে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে আর এখানে প্রায় সময়ই প্রশাসন দেখা যায় নিরব ভূমিকা পালন করছে।
Leave a Reply