ষ্টাফ রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রিয়াদ (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত রিয়াদ আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকার ভাড়াটিয়া রাজু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সুজন(২৮) নামে একজনকে আটক করেছে। সুজন গাইবান্দা জেলার মিয়া গ্রাম এলাকার কোরবান আলীর ছেলে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শওকত জামিল জানায়- গত ২৪ এপ্রিল ইফতারের পর সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকার ভাড়া বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয় রিয়াদ। এরই মধ্যে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে রিয়াদের বাবার মোবাইলে ছেলেকে ফিরে পেতে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে একটি ফোন আসে।
গত ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় শিশু রিয়াদের বাবা রাজু বাদি হয়ে একটি নিখোঁজের জন্য সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে সেই মোবাইলের কললিষ্টের সূত্র ধরে আমরা তদন্ত শুরু করি এবং এক পর্যায়ে আমরা অপহরণকারীকে শনাক্ত করি। পরে বুধবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের চর সিমুলপাড়া এলাকা থেকে অপহরণকারী নিহত রিয়াদের দুরসম্পর্কের খালু সুজন (২৮) আটক করি। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ি জালকুড়ির তালতলা এলাকার একটি ডোবা থেকে শিশু রিয়াদ (৭) এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিশু রিয়াদ সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের চরশিমুল পাড়ার স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোান করতো।
নিহত শিশু রিয়াদ তার মা-বাবার কনিষ্ঠ সন্তান। আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকায় করিম মিস্ত্রির ভাড়া বাসায় বাবা-মায়ের সাথে থাকতো শিশু রিয়াদ। রিয়াদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্দা জেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের মিয়া গ্রামে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী জানায়- শিশু রিয়াদ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা একজনকে আটক করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা এই হত্যাকান্ডের সাথে আরো একজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের কারণে আমরা এখনি তার নাম বলতে পারছি না। এ বিষয়ে বিস্তারিত আমরা পরে জানাতে পারবো। হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম পক্রিয়াধিন রয়েছে।
Leave a Reply