নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল পানির কল এম সার্কেস এলাকায় কথিত বিএনপি নেতা ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর বিরোদ্ধে নিরহ নাসরিন আক্তারের ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
নালিশা জমির বহুপূর্ব মালিক সমিউল্লার স্ত্রী মরিয়ম নেছা ১৯৬৮ সালে- ৮৮৮৬ নং সাব কাবলা দলিল মূলে মালিকানা রেকর্ড ভূক্ত হয়। অতঃপর মরিয়ম নেছার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় বিগত ২০/১২/২০০৬ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রীকৃত- ৬৫৫৪ নং সাফ কবলা দলিলমূলে মোসাম্মৎ হালিমা বেগম এর নিকট বিক্রয় করে দেন। এরপর গত ০৬/০২/২০০৭ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে ৪৭২৪/০৬-০৭নং নামজারী জমাভাগ মোকদ্দমা মূলে নিজ নামে নামজারী জমাভাগ করত ৫৪৬৬ নং জোতের মাধ্যমে এবং ৫৪৬৫ নং পৃথক খতিয়ান সৃজন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখলে থাকেন। এরপর হালিমা বেগমের নিকট হইতে তৎকালীন বাজারের ন্যায্য মূল্যে নাসরিন আক্তার বিগত ১০/০৯/২০১৩ তারিখে ৬০৪৮ নং সাব কাবলা দলিল মূলে ঐ জমি ক্রয় করে মালিক ও দখলকার হন। এবং এর পর গোদনাইল ভূমি অফিসে তার নিজ নামে নামজারি জমাভাগ খাজনা খারিজ করেন।
বর্তমানে বিএনপির নামধারী এক নেতা ও গোদনাইল পানির কল এলাকার চিহ্নিত এক মাদক সম্রাজ্ঞী গং জোর পূর্বক উক্ত নালিশা ভূমিটি জবর দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন জায়গাটির বর্তমান দখলিস্বত্ব মালিক মোসাম্মৎ নাসরিন আক্তার। নাসরিন আক্তার আরো জানান, এই জমির বহুপূর্ব মালিক মরিয়ম নেছা কর্তৃক একাধিক ফৌজদারী মামলার আসামী আলী হোসেন ওরফে সুইক্কার নিকট হেবা দলিলের মাধ্যমে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একটি ভূয়া দলিল সম্পাদন করে। কিন্তু ঐ হেবা দলিল সম্পাদনের বহু আগেই জালিয়াত সুইক্কার মা সন্তান জেল হাজতে থাকা কালিন সময় তার মা বৃদ্ধা মরিয়ম নেসা একই এলাকার হালিমা বেগমের কাছে সাব কাবলা দলিলের মাধ্যমে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিক্রয় করেন এবং তার সন্তান কে হত্যা মামলা থেকে মুক্ত করতে খরচ করেন। তাহলে মায়ের বিক্রয় করা জমি সন্তান জেল থেকে বের হয়ে কিভাবে আবার বিক্রয় করার পায়তারা করে ?
এর পুর্বে অত্র ভুমি বর্তমান ক্রয়কৃত মালিক নাসরিন আক্তার একাধিকবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় উক্ত ভুমি দস্যুদের বিরুদ্ধে জিডি করেন,গত ২৩/৩/১৪ ইং তারিখে যাহার নং ৯২৬ এবং গত ৭/২/১৯ ইং তারিখে যাহার নং ৩৩৭ এমনকি পুলিশ সুপার বরাবরও অভিযোগ করেন গত ২৯/১/১৪ তারিখে যাহার নং অভি,,১৯০। এমনকি আমাদের সংবাদ দাতা সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্য সার্কেলে তথ্য নিয়ে জানতে পারেন জনাবা নাসরিন আক্তার তার নিজ নামে অত্র ভুমি খাজনা খারিজ করেছেন যাহার নং ০২-৪৯৩১/১৮-১৯.তারিখ ১৪/০৭/১৯. ক্রয়কৃত দলিল নং ৬০৪৮ তারিখ ১০/৯/১৩. অরও তথ্য নিয়ে জানা যায় যে উক্ত ভুমি দস্যু গং এর সহায়তায় মাডার মামলার আসামী আলি হোসেন সুইক্কা উক্ত নাসরিনের নামজারির বিরুদ্ধে মিস কেইছ করে ছিলেন যাহার নং ০৮/১৫ পরবর্তিতে তাহা খারিজ হয়ে নাসরিন আক্তারের পক্ষে আদেশ হয়।
উপরোক্ত সকল সঠিক তথ্য গুলি ভুল বুঝিয়ে এলাকায় বিভ্রান্তি ছরাচ্ছে উক্ত ভুমি দস্যু লিমন গং।তাই এ ব্যপারে সঠিক বিচার চেয়ে নাঃগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি প্রয়াত নাসিম ওসমানের সহধর্মিণী জনাবা পারভিন ওসমানের কাছে ভোক্তভোগী নাসরিন আক্তার বিচার চেয়েছেন।
Leave a Reply