বর্তমান খবর প্রতিনিধি
সিলেট:
চলতি অর্থ বছরে সিলেট দোয়ারাবাজার উপজেলার সবকটি বালু মহালের ইজারা বন্ধ রয়েছে।ইজারা ছাড়া বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও থামছেনা বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। এতে একদিকে যেমন বালু মহাল এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পরেছে অন্যদিকে তেমনি সরকার বঞ্চিত হচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে। অভিযোগ রয়েছে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাসিন্দা তোফায়েল আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। তিনি ইউনিয়নের রামসার গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে, নিজেকে যুবলীগ নেতার পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছেন তিনি।
বর্তমান খবর এর পক্ষে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়- রামসার গ্রামে তোফায়েল আহমেদের বাড়ির সামনে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে বালু উত্তোলন ও মজুদ করতে দেখা গেছে। এই সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে জসিম সম্পর্কে তিনি তোফায়েলের চাচা বলে পরিচয় দেন এবং বালু উত্তোলনের ছবি তোলায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং ক্যামেরা থেকে ছবি ডিলিট করতে বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিবেদককে জানান- তোফায়েল ও তার চাচা জসীম প্রায় তিনমাস ধরে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। এসব বালু প্রতিদিন রাতে ট্রাকে করে সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হয়। বালু উত্তোলনে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও উল্টো প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছেন তারা। এসবের প্রতিবাদ করলেই হামলা-মামলা এবং প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করার ভয়ভীতি দেখানো হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া যায় ।
তোফায়েল আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার উপর আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এবিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলেও জানান।
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান- তোফায়েল নামের কাউকে চিনিনা। এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখবো
Leave a Reply