ষ্টাফ রিপোর্টঃ
হিন্দু-মুসলমান, ওনি কারো সম্পত্তিই ছাড়ছেন না। তার জবাব তাকে উপরে গেলে দিতেই হবে। জমি নিয়ে যারা কোন্দল করে, আল্লাহ মৃত্যুর পরে ঐ জমির সমপরিমান ওজন তার গলায় তাবিজ বানিয়ে ঝুলিয়ে দিবে। লোভ করতে গেলে সে যত বড়ই নেতাই হোক না কেন, সে টিকে থাকবে না। ইবলিশ শয়তান, শয়তানি করবেই এবং ইবলিশ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমার ঈমানই যথেষ্ট। ঈমানের সাথে কাজ করলে দেখবেন উন্নয়ন হবেই।
শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার নবীগঞ্জের টি হোসেন গার্ডেনে উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
সেলিম ওসমান বলেন- আমার নিজের কাছেই অনেক খারাপ লাগছে যে করোনার কারণে আমাদের উন্নয়ন কাজগুলো অনেকটাই থেমে গেছে। আমরা সবাই মিলে যেভাবে কাজ করেছি, করোনা ভাইরাসের মতো খারাপ ভাইরাসও কিন্তু আমাদের মাঝ থেকে প্রায় চলে গেছে, তবুও আমি আপনাদের বলবো মাস্ক টা আপনারা পরেন। আমরা ভাবতে পারি ভ্যাকসিন এসে গেছে এখন করোনা হবে না এটা ঠিক না। আমাদের সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই প্রধানমন্ত্রীকে যদি আমরা না পেতাম তাহলে আমরা ভ্যাকসিনও পেতাম না। আনেক উন্নত দেশও ভ্যাকসিনের জন্য ভিক্ষা করে বেরাচ্ছে, আর আমরা অফুরন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছি। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ এ ভ্যাকসিন নিচ্ছে।
তিনি আরোও বলেন- আজ নারায়ণগঞ্জে এমন অনেক মিল বন্ধ হয়ে গেছে যা চালু থাকলে নারায়ণগঞ্জের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক আনেক ভালো থাকতো। আমি কখনো কাউকে নমিনিশন দেই নাই, আলিরটেক এ মতির সাথে আমি দীর্ঘ্য দিন কাজ করেছি বলে আমার মনে হয়েছে ও এই পদের জন্য উপযোগী। আমি যদি নমিনিশন দিতে পারতাম তাহলে কি আমি লাঙ্গল নিতাম, নৌকাই তো নিতাম। ভেবেছিলাম আমি আর নির্বাচন করবো না কিন্তু আমি দেখেছি মানুষ আমাকে কতটা ভালোবাসে, তাদের ভালোবাসা ফেলে আমি এখন আর চলে যেতে পারবো না। আমার মনে হয় আপনাদের ভালোবাসা এবং আপনাদের দোয়ার কারণেই আমি আজও বেঁচে আছি।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এই সাংসদ আরোও বলেন- করোনার সময় আমি আমার এলাকার চেয়ারম্যানদের বলেছিলাম আমার এখানে একজনেরও যাতে করোনা না হয়, যদি হয় তাহলে তুমি আর চেয়ারম্যান থাকতে পারবে না। তাই আমার চেয়ারম্যানরাও দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। আপনারা আমাদের নেত্রী, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ ওনাকে যাতে দীর্ঘায়ু দান করেন। তিনি বেঁচে থাকলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব।
এ সময় সেলিম ওসমান স্থানীয় মানুষদের ডেকে ডেকে স্টেজে উঁঠিয়ে তাদের সমস্যার কথা সবার সামনে খুলে বলতে বলেন এবং সকলকে আশ্বাশ দেন যে তাদের সব রকমের সমস্যা শিঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। তার এ কথা শুনে স্থানীরাও তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ করেন।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহ্সান উদ্দিন আহম্মেদ’র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চঁন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা,মহানগর স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি জুয়েল হোসেন জুয়েল, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু।
আরও উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ সালাম,নাসিক-২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন দুলাল প্রধান, নাসিক-২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন প্রমূখ।
Leave a Reply