স্টাফ রিপোর্টার : গত রোববার বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে (কেভিড ১৯) আক্রান্ত ৩ রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া যায়। মূলত এরপর থেকেই সারা দেশের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় করোনা আতঙ্ক। তাই এই করোনাভাইরাসের ভয়ে এর জীবাণু রোধে ব্যবহার্য বিভিন্ন মাস্কের ওপর ঝেঁপে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এতে মুনাফালোভী কিছু মাস্ক প্রস্তুতকারক এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের অতিলোভে কয়েকগুণ বেড়েছে বিভিন্ন মাস্কের দাম। সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি অস্থায়ী মাস্কের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সার্জিক্যাল মাস্ক এই মুহূর্তে বাজারে না থাকায় কাপড়ের বিভিন্ন মাস্ক অধিক মূলে কিনতে বাধ্য হচ্ছে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে থাকা সাধারণ মানুষ।
এ সময় মোহাম্মদ পরশ নামে এক ব্যংক কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে বলেন, আমি গত তিন মাস আগেও একটি সার্জিক্যাল মাস্ক কিনেছিলাম ১০ টাকা দিয়ে। কিন্তু এখন তো করোনার কারণে বাজার থেকে সার্জিক্যাল মাস্ক উধাও হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে কাপড়ের মাস্ক কিনেছি সার্জিক্যাল মাস্কের চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি দামে। শুনলে অবাক হবেন যে আমি একটি সাধারণ কাপড়ের মাস্ক কিনেছি ৫০ টাকা দিয়ে।
মাস্ক কিনতে আসা রাসেল মিয়া নামে অন্য একজন বলেন, সাধারণত এক একটি কাপড়ের মাস্ক খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি দরে মাত্র ১ থেকে ২ টাকায় বিক্রি হয়। সেখানে একজন খুচরা ব্যবসায়ী চাইলে একটি মাস্ক ১৫ থেকে ২০ টাকা বিক্রি করলেও অনেক লাভ। কিন্তু এখন আমাদের একটি কাপড়ের মাস্ক কিনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক খুচরা মাস্ক বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আসলে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা পাইকারি দামে মাস্ক প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনছি। তাই অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছি।
Leave a Reply