ষ্টাফ রিপোর্টঃ
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় থাকা এরিয়ার গ্রাহকরা বিগত ২ মাস যাবত সারাদিনে ১ ঘন্টাও বিদ্যুৎও পাচ্ছে না। যে সময়টুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছে তাও আবার লো-ভোল্টেজ আর এই ভোল্টে সেচের পাম্প চালু হওয়া তো দুরের কথা সাধারণ বাল্পই জ্বলতে চায়না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছে বোরোচাষী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
বোরো চাষে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। বিজ রোপনের সময় পাড় হয়ে গেলেও বিদ্যৃতের এত বড় বিপর্যযরে কারণে জমীতে সেচ দিতে পারছেনা কৃষকগণ,অনেকে বাধ্য হয়ে স্যালোচালিত মেশিন দিয়ে আবাদ শুরু করলেও তা অনেক ব্যায়বহুল হওয়ায় বেশিরভাগ কৃষক তা শুরু করতে পারেনি। জেলার ভিতরবন্দ ইনিয়নের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন- এক এক করে ৬ দিন রাত জেগে ৩ বিঘা জমি ভেজানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনভাবেই না পেয়ে স্যালোতে আলাদা ভাড়া দিয়ে তেল কিনে তারপর পনি নিয়ে জমিতে চারা রোপন করেছি। তিনি আরও বলেন এত ব্যায় হলে চাষাবাদ করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যবসায়ও এর প্রভাব পরেছে। ভিতরবন্দ বাজারের ব্যাবসায়ী আলম মিয়া বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- সারাদিন তো বিদ্যুৎ থাকেই না । রাতে একটু আসলেও কিছুক্ষন থেকেই চলে যায়। আমরা কিভাবে ব্যাবসা করবো। একই বাজারের ডাঃ রিপন জানান- বিদ্যুৎ পাওয়ার পর বিগত ১৯ বছরে এরকম অবস্থা কোনদিন দেখি নাই। বিদ্যুতের এ অবস্থা দেখে মনে হয় আমাদের এখানে এখনও বিদ্যুতই আসেনি। কুমরপুর বাজারের ব্যাবসায়ী তপন বলেন- সকালে দোকান খুলি রাত ১০ টায় বন্ধ করি গত ৪/৫ দিন থেকে সকাল থেকে রাত একসময়ও বিদ্যুৎ পাইনা। বিদ্যুতের এই করুন পরিণতিতে বেড়ে গেছে চুরিও। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি দোকান চুরি গেছে।
নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আতিকুর রহমান কে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন- পাটেশ্বরী লাইনের আওতায় থাকা কুমরপুর সাব ষ্টেশনের মেশিন নষ্ট হওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। একটা মেশিন ঠিক করতে কি ২ মাসের বেশি সময় লাগে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি ক্ষেপে গিয়ে বলেন- আরও সময় লাগবে অপেক্ষা করতে হবে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম লালমনির হাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) স্বদেশ কুমার ঘোষ সংবাদ প্রতিনিধিকে বলেন- কুমরপুর সাব ষ্টেশনের নষ্ট মেশিনটি দ্রুত সমাধান করা হবে, তবে সারাদিনে বিভিন্ন লাইনে ১ ঘন্টাও কেনো বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছেনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply